বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাংলাদেশের এই আগুন সহজে নিভঁবেনা



সুবীর ভৌমিক কি দক্ষিন এশিয়ায় আগুন লাগিয়ে দেবেন ! - ফরহাদ মজহার


বিষয়টি আজ কতটা প্রাসঙ্গিক, ফরহাদ মজহার যে দিকটি দেখেছেন সেটা তখন আমাদের নজরে আসেনি, কিন্তু তিনি শুধুই কথার কথা বলেননি, তার যথেষ্ট কারণ ছিল। বর্তমানে অপরাজনীতির যে আগুন জ্বলছে বাংলাদেশের এই আগুন সহজে নিভঁবেনা। কারণ এটা সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি একটি যুদ্ধের কৌশলের অংশমাত্র। এই যুদ্ধের এক অংশে সাধারণ মানুষ অন্য অংশে রাজনীতি দলের চেহারায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পেতত্মা। দেশে যে রাজনীতির সংকট চলছে এটা ধর্মনিরাপক্ষবাদী কিংবা জাতীয়তাবাদীদের নয়। এই সংকট আরো গভীরে শুধুমাত্র এই সংকটের মধ্যে ফেলতে যে উপলক্ষ্য দরকার তা করিয়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার দ্বারা।  যে সংকটে দক্ষিন এশিয়া নিমজ্জিত তা শুধুই বাংলাদেশের সংকট নয়। 
আজ দক্ষিন এশিয়ায় অনেকটা যুদ্ধের দামামা বাজছে, ভারত তাদেঁর রাজনীতির কৌশলে বাংলাদেশকে পাশে চায়। কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশ যেন না ছুটে তার জন্য ৪০ বছরের পুরোনো ওয়াদা পূরনে এগিয়ে এসেছে। মার্কিনীদের কাছের বন্ধু ভারত আজ নানায় অবস্থায় বিপরীতমূখি আর ভারতের পুরোনো বন্ধু রাশিয়া আজ সরব, আর্ন্তজাতিক রণ কৌশলে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি তর্কের উপলক্ষ্য হিসেবে দাড় করানো হয়েছে।
বর্তমান সরকার ভারতদের স্বার্থদ্ধারে বদ্ধপরিকর, সরকার আমেরিকার সাথে টিকফ চুক্তি করে নানায় পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলেও ভারত যাতে নাখোশ না হন সেই দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে ভারতকে খুশী করানোর জন্য যুদ্ধপরাধীর বিচারের নামে মানবতা বিরোধী বিচার করে তা নিজের পকেটে থাকা রায় বাস্তবায়ন করে মনোরম নাটক করলেন।

আবার ভারতের বর্তমান জাগীদার রাশিয়াকে খুশী করানোর জন্য ঋণের টাকায় অস্ত্র কেনা, ঋণের টাকায় পরমানূ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি করে বিশাল নাটক মঞ্চস্থ করে বর্তমান সরকারকে মেগা সিরিয়ালে রূপান্তর করার নানান কৌশল হাতে নিয়েছেন। 

বর্তমান দক্ষিন এশিয়ার ভূরাজনীতির যে খেলা চলছে তা ইসরাইলের ইনোন রির্পোটের একটি অংশ, মধ্যেপ্রাচ্যে ইনোনের অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়েছে তাই এখন দক্ষিন এশিয়ায় তা ধাবিত হচ্ছে, (ইনোন রির্পোটি যারা পড়েছেন তাদের জন্য এটা বুঝা সম্ভব হবে) আর এর মধ্যে আমরা না চাইলেও আমরা জড়িয়ে পড়ছি।

আর এমন এক পরিস্থিতিতে আমরা সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ দিনে দিনে বাড়বেই, দেশের নানায় উন্নয়নের চিত্র ফুটবে নানান গণমাধ্যমে, হাজার কোটি টাকার নানান প্রকল্প হবে, কিন্তু মানুষের মুক্তি থাকবেনা। থাকবেনা কোন রাজনৈতিক দর্শন।

আমরা শুধুই সংখ্যা যেমন রানা প্লাজা ১১১৭, মানবতা বিরোধী অপরাধে ট্রাইবুনাল গঠন হওয়ার পর ৩০০, নানায় কারণে ১২ কিংবা ১৭ প্রতিদিনই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এভাইে আমরা মরতে থাকবো। কারণ আমরা ঘমান্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। ঘরের মানুষেয় চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ভোর থেকে রাতঅবোধি প্রাণন্ত চেষ্টা। কোন কিছুই আজ আমাদের নাড়া দেয়না, আজ হাজার লাশ দেখে কাল বৌ বাচ্চা সমেত কেএফসিতে গিয়ে ব্রোস্ট, পিজা খেয়ে মুক্তির ঢেকুর দিয়ে বাসায় ফিরে আবার আগামীকালে দাস বিক্রিয় জন্য চাঙ্গা হয়ে পরি। আমার মত অনেকেই অরো একধাপ নানা কৌশলে সে অবস্থায় থেকেও না থাকার ভান করে ফেসবুকে কিংবা ব্লগে লিখে নিজের অস্তিত্যকে মিথ্যা সান্তনা দেই।

তবে এটাও সত্যে যে মানুষ জেগে উঠে, জেগে উঠতে সময় বেশী লাগলে প্রাণক্ষয় বেশী হবে, তাই জাগতে হবে, দলকানাদের দ্বারা এই সমস্যার সৃষ্ট হলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে রাজনীতিই দ্বারাই। সঠিক সিদ্ধান্ত আর সঠিক বন্ধু বাছায়ের মাধ্যমেই রাজনীতিটা শুরু করতে হবে।

আলমগীর আলম
১৮ই ডিসেম্বর,২০১৩ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন