বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩

আরও একজন রাবারস্ট্যাম্প রাষ্ট্রপতি?


বিএনপি প্রবর্তিত যে প্রক্রিয়ায় আবদুল হামিদ ‘নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি’র তকমা পরলেন, আওয়ামী লীগ তার যথার্থ নামকরণ করেছিল ‘সাংবিধানিক জোচ্চুরি’। ২২ এপ্রিল একাত্তর টিভির এক আলোচনায় ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়, বিএনপি এই প্রক্রিয়ায় কেন অংশই নিল না? নির্দিষ্টভাবে ৭০ অনুচ্ছেদের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর বিনয়ী উত্তর: সংখ্যাগরিষ্ঠ যাকে মনোনয়ন দেবে, তিনিই তো নির্বাচিত হবেন। তবে তিনি যেটা বলেননি সেটা হলো সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘একটি কিনলে দুটি ফ্রি’ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেটা কেমন, তা পরে বলছি।
বাংলাদেশ বিনা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাদিক্রমে পাঁচজন রাষ্ট্রপতি পেল। দুনিয়ার অন্যত্র যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশে হতে হবে। কিন্তু অন্য কোথাও মুখে কালো কাপড় বাঁধার মতো ৭০ অনুচ্ছেদ ও প্রকাশ্য ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান নেই। বোধগম্য কারণে এ বিষয়ে বিএনপির মুখ বন্ধ। ৩০০ আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী একটি মাত্র আসনের প্রতিনিধি। কিন্তু এর জোরে তিনি রাষ্ট্রপতিসহ সব সাংবিধানিক পদধারীদের নিয়োগ ও অপসারণের একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করেন। উপরন্তু তাঁর হাতেই দলের চাবিকাঠি। বাংলাদেশ সংবিধান এভাবে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে চলেছে। আর বাদবাকি সর্বনাশ করেন বিশেষজ্ঞের দল। তাঁরা পত্রিকায় গলা ফাটাতে থাকেন, রাষ্ট্রপতি রাবারস্ট্যাম্প। ইদানীং একদল লোক ঘন ঘন ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। সেখানেও মিথ্যা কিংবা অর্ধসত্য বলার প্রতিযোগিতা আছে। সাধারণভাবে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া অন্য সব দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে চলবেন।
বিগত আমলের কথা। আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদকে কর্মকর্তারা বললেন, স্যার, ৪৮(৩) অনুচ্ছেদমতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ফাইল তো সরাসরি বঙ্গভবনে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে না। মওদুদ একমত হলেন। একজন কর্মকর্তা ফাইল নিয়ে বঙ্গভবনে গেলেন। সেখানকার সচিব তো আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন, তাঁর পক্ষে এটা সরাসরি রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর সই লাগবে। ওই কর্মকর্তা লেখককে বলেন, ‘আমিই বরং লজ্জিত হলাম এবং আইনমন্ত্রীকে এসে বললাম। তিনি আর তদবির করলেন না। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ফাইল সেই থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়।’ প্রধান বিচারপতিরা সেই থেকে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাচ্ছেন। লেখক বর্তমান মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে তাঁর দপ্তরে জিজ্ঞেস করলেন, কোন আইনে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠান? মান্যবর মন্ত্রী কোনো আড়ষ্টতা ছাড়াই বললেন, ‘আপনি আমার চেয়ারে বসুন, তাহলে বুঝতে পারবেন!’
পূর্বসূরিদের মতোই কি গা বাঁচিয়ে চলবেন দেশের নির্বাহী ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ? স্পিকার হিসেবে তাঁর কিছু প্রকাশ্য উক্তি আনুগত্য পরীক্ষার জন্য নাকি ঝামেলাপূর্ণ ছিল। তিনি উতরিয়েছেন। তাঁর মেয়াদ যথেষ্ট ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ হলে অবাক হব না। দুই নেত্রীর আমলের রাষ্ট্রপতিরা এ পর্যন্ত কেউ স্মৃতিকথা লেখেননি। সুতরাং, ভেতরটা আমরা জানতে পাই না। এটা বাক্স্বাধীনতার একটা মানদণ্ড।
ভারতের জ্ঞানী জৈল সিং তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে তাঁকে যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেন, তাতে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। পাঞ্জাবে শিখ বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে ১৯৮২ সালে ইন্দিরা যখন তাঁকে রাষ্ট্রপতি হতে আমন্ত্রণ জানান, তখন নিশ্চয় তা তাঁকে আরও চমকে দিয়েছিল।
কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ও পরে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। জৈল সিং লিখেছেন, ‘তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হলেও পাঞ্জাবের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় ইন্দিরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতেন।’ স্বর্ণমন্দিরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অন্ধকারে রাখেন। রাজীব লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ তিওয়ারিকে দিয়ে অভিযোগ তোলান যে, শিখ সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে আশ্রয় পেয়েছিল। এমনকি রাজীব প্রকাশ্যে রেওয়াজ ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলেন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে।
জৈল সিংয়ের মতো বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকেও অপসারণের গুজব ছড়িয়েছিল। জননিরাপত্তা বিল ফেরত পাঠিয়ে তিনি আলোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আরও একটি অনালোচিত কীর্তি আছে। দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারায় সংশোধনী এনে একটি বিল পাস হয়। রাষ্ট্রপতি তা ফেরত পাঠান। আওয়ামী লীগ সরকার আর সেই বিল পাঠায়নি। সেটির নীরব মৃত্যু ঘটেছিল। সেই বিল ২০০৩ সালে বিএনপি পাস করেছিল।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতিদের দ্বারা এমন অনুশীলন বিরল নয়। জৈল সিং পোস্টাল আইন সংশোধনী বিলে সই দিতে অসম্মতি জানান। কারণ, তিনি মনে করেছিলেন চিঠিপত্রে ইচ্ছামতো সরকারি হস্তক্ষেপ ঘটাতেই ওই বিল পাস হয়েছে। সঞ্জীব রেড্ডির ‘মাই প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্সে’ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে অগ্রাহ্যের বিবরণ আছে।
আমরা চাই, আবদুল হামিদ ভারতের আরেক রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করুন। ভারতের সংবিধানের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেরও কিছু ক্ষমতাকে প্রধানত রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা হিসেবে চিহ্নিত করা চলে। নারায়ণন ঠিক করেছিলেন যে দণ্ডিতদের মার্জনা করার মতো ডিসক্রিশন প্রয়োগের ব্যাখ্যা জানার অধিকার জনগণের আছে। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে ইশতেহার প্রথা চালু করেন। আমাদের সুপরিচিত বিশেষজ্ঞদের বলতে শুনি না, কিন্তু বহু বছর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন বলেছিলেন, ‘তুমি সংবিধানে দুই ধরনের অনুচ্ছেদ দেখবে। কতগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের কথা আছে। লিখিত পরামর্শের কথাও আছে। আর কোথাও নির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।’ এখন তথাকথিত বিশেষজ্ঞদের যন্ত্রণায় রাষ্ট্রপতিদের প্রাণ আরও ওষ্ঠাগত। তাঁরা সারাক্ষণ কানের কাছে ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ নিয়ে ওই এক ঘ্যানর ঘ্যানর: কবর জিয়ারত ছাড়া কিচ্ছুটি করার নেই রাষ্ট্রপতির। তাই গণভবনের সর্দি হলে হাঁচতে থাকে বঙ্গভবন। অথচ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে তখনকার আলাপে মনে হয়েছিল, এই কবর জিয়ারতই তাঁর কাল হলো। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় খালেদা জিয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্রপতি যেতেই পারলেন না। শুধু ইচ্ছা প্রকাশে ষড়যন্ত্র দেখলেন প্রধানমন্ত্রী।
২৩ এপ্রিল আবদুল হামিদ ‘ইজ্জতের’ সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২০০২ সালের ২১ জুনে পদত্যাগের আগে রাষ্ট্রপতি চৌধুরী প্রশ্নের জবাবে আমাকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতি পদের দলনিরপেক্ষ ইজ্জত রাখার স্বার্থেই ওই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক শুভেচ্ছা দেখাতে বি. চৌধুরী বিরোধীদলীয় উপনেতা আবদুস সামাদ আজাদের বাসভবনে গিয়েছিলেন। তিনি চাকরি করতে চাননি। তৎকালীন বিদায়ী ডেপুটি স্পিকার আবদুল হামিদের বাসভবনেও যেতে চেয়েছিলেন বি. চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিশ্চয় স্মরণ করতে পারবেন যে, কী কারণ দেখিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদ সেদিনের রাষ্ট্রপতিকে তাঁর বাসায় মেহমানদারি করাতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। বি. চৌধুরী ও আবদুল হামিদের সেই অভিন্ন ‘কারণ’ আজও অপরিবর্তিত এবং এই রাষ্ট্রে সেটাই চূড়ান্ত অর্থে সবার ইজ্জত নির্দেশক।
আবদুল হামিদের অভিষেককালে এই লেখকের একটি প্রার্থনা। সংকট সুরাহা কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেওয়া তাঁর এখতিয়ারের বাইরে। তাঁকে ঘিরে চলতি প্রার্থনা-সংগীত তাই বেসুরো মনে হয়। কিন্তু দণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষমায় স্বচ্ছতা আনা তাঁরই কর্তব্য। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ১৫টি রায়ের তিনটি পর্যবেক্ষণ তিনি বিবেচনায় নিতে পারেন। ১. মার্জনার ক্ষমতা প্রধানত রাষ্ট্রপতির ডিসক্রিশন। ২. এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতি সব সংশ্লিষ্ট তথ্য ও দলিলপত্র বিবেচনায় নিয়েছিলেন কি না, তা কতিপয় ক্ষেত্রে আদালত খতিয়ে দেখতে পারেন। ৩. রাষ্ট্রপতি মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ নতুন করে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাঁর এই ক্ষমতা বিচার বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
রাষ্ট্রপতির হাতে এই ক্ষমতা থাকা আদৌ দরকারি কি না, সেই প্রশ্ন ভারতে বড় আকারে উঠেছিল। ভারতের আইন কমিশনের যুক্তি: ‘থাকা উচিত। কারণ, বিচারকেরা ভুল করে কারও ফাঁসির আদেশ দিতে পারেন। সেটা ঠেকাবেন রাষ্ট্রপতি।’ যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড রহিতে রাষ্ট্রপতি কখনো পুনর্বিচারও চাইতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা গেল গেল বলে রব তুলতে পারেন। কিন্তু এটা সংসদীয় গণতন্ত্রবিরুদ্ধ নয়। ইংল্যান্ডের এক রাজা একদা একটি মার্জনার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে ফেরত পাঠান। প্রধান বিচারপতি ছিলেন লর্ড গোডার্ড। তিনি নতুন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শুনানি করেন এবং দণ্ডিতকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দেখতে পান। নিয়ম করা যেতে পারে, কারও দণ্ড মার্জনা হ্রাসের সিদ্ধান্ত শুধু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নয়, এটা মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। আবদুল হামিদ ব্যক্তিগতভাবে চাইলেই প্রতিটি মার্জনার বিষয়ে বঙ্গভবন থেকে একটি কারণসংবলিত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারেন। ‘ক্ষমা-বাণিজ্য’ নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়াও উচিত নয়।
সংবিধানপ্রণেতারা মনে রেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। রাষ্ট্রপতিকে তিনি রাবারস্ট্যাম্প বানাতে পারেন। তাই তাঁকে একটা রক্ষাকবচ দেন।
সংবিধান বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শ দান করেছেন কি না এবং করে থাকলে কী পরামর্শ দান করেছেন, কোনো আদালত সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের তদন্ত করতে পারবেন না।’ এটা কি শখ করে লেখা?
না। প্রধানমন্ত্রীরা কোনো অনৈতিক, অন্যায্য, অশোভন ও আইনানুগ নয়—এমন কোনো বিষয়ে দস্তখত আশা করতে পারেন। তখন ‘আমি কী করব। জানেনই তো’—এ ধরনের অজুহাত দেখানোর কোনো সুযোগ ইজ্জত রক্ষায় সংকল্পবদ্ধ কোনো রাষ্ট্রপতির নেই। হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রীকে একটা ‘না’ বলে দিলে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠবে। কিন্তু সংসদে অপসারণ ছাড়া আদালতে তার প্রতিকার নেই। নিজে নাক কেটে এই অপসারণ যে সহজ কাজ নয়, সেটাই রাষ্ট্রপতির রক্ষাকবচ।
১২৩ অনুচ্ছেদে সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা আছে। সংসদ গড়তে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লাগে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কিচ্ছুটি লাগে না। গোড়াতেই বলেছি, একটি কিনলে দুটি ফ্রি! একটি নির্বাচনে জিততে পারলে দুটি পাঁচ বছর মেয়াদি দলীয় রাষ্ট্রপতি ফ্রি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সংবিধান। এটা একটি অগণতান্ত্রিক সংবিধান। এই সংবিধান বলেছে, ‘মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে।’ মৃত্যু না ঘটলে জিল্লুর রহমান মেয়াদ শেষের একটু আগে পদত্যাগ করেও দ্বিতীয় দলীয় রাষ্ট্রপতি জাতিকে উপহার দিতে পারতেন।
পূর্বসূরির মতোই একজন রাবারস্ট্যাম্প রাষ্ট্রপতি হবেন কি না আবদুল হামিদ, সেটা দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন