রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া সেনা কমান্ডারের ভাষ্য : বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশে অবস্থান করছে মার্কিন বিশেষ বাহিনী


বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে অবস্থান করছে মার্কিন বিশেষ বাহিনী ( স্পেশাল ফোর্সেস)। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তারা এ দেশগুলোতে অবস্থান করছে। অন্য দেশগুলো হলো ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। পেন্টাগনের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সামনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা জানিয়েছেন।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর কয়েকটি দল সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (প্যাসিফিক কমান্ড) কমান্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে উইলার্ড কংগ্রেস সদস্যদের বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ বিশেষভাবে যোগ্য সহযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বেশি করে অবদান রাখছে। একই সঙ্গে তাদের সক্ষমতাও বাড়িয়েছে।’
কমান্ডার উইলার্ড আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মূল দায়িত্ব ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজের দেশের মানুষকে রক্ষা করা এবং তারা সেটা করে দেখিয়েছে।’
কংগ্রেসের সদস্য জানতে চান লস্কর-ই-তাইয়েবাকে মোকাবিলায় কী ধরনের প্রয়াস নেয়া হবে। এর জবাবে উইলার্ড বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী তত্পরতা বাড়াতে আমরা দেশগুলোর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহায়তা দেব। বিশেষভাবে সামুদ্রিক এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত। তবে আমরা ওইসব দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের হুমকি মোকাবিলায়ও সাহায্য করব।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা এ অঞ্চলের জন্য খুবই বড় হুমকি। এই জঙ্গিগোষ্ঠী কেবল নিজেরাই সংঘবদ্ধ নয়, এদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগও বেশ ভালো।’
উইলার্ড বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ হামলাসহ ভারতে আরও অনেক হামলার জন্য লস্কর-ই-তাইয়েবাকে দায়ী করা হয়। পাকিস্তানভিত্তিক এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আল কায়দা এবং অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ধারণা করা হয়। লস্কর-ই-তাইয়েবা আফগানিস্তানেও বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে। এছাড়া তাদের লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার অনেক স্থানও।
কমান্ডার উইলার্ড বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার মার্কিন বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি জলদস্যুতা রোধ, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন কাজে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সাহায্য করছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন