মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১১

পানির ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা আগ্রাসী। শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে তারা নিজেদের প্রয়োজনে জোর করে পানি নিতে চায়। তারা বাংলাদেশের ব্যাপারটি কখনোই বিবেচনা করে না

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক। বর্তমানে তিনি ‘দেশপ্রেমিক জনগণের মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠনের প্রধান। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের ভূমিকা, তিস্তা চুক্তির ভবিষ্যৎ, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, এর পরিবেশগত প্রভাব এবং জনগণের আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সাপ্তাহিক বুধবার-এর সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বুধবারের নিজস্ব প্রতিবেদক মঈনুল হক


বুধবার : গঙ্গা-তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এমনকি যেসব নদী নিয়ে আদৌ কোনো চুক্তি বা আলোচনা হয়নি সেসব নদীতেও বাঁধ তৈরিসহ স্বাভাবিক পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের পানিনীতিকে আপনি কিভাবে বিশ্লেষণ করেন।

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : ভারতের বিস্তৃতি এমন যে, ওই দেশটির কোনো কোনো এলাকায় অনেক বৃষ্টিপাত হয় আবার কোনো কোনো এলাকা মরুভূমি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সে দেশে পানির চাহিদা বাড়িয়ে চলেছে। ভারতের পরিকল্পনাকারীরা সব অংশের চিন্তা করে আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এমনকি তারা কাজও করছে। অতএব যেখানে পানি একটু বেশি আছে সেখান থেকে তারা পানি সরিয়ে কম পানির অঞ্চলে নিয়ে যেতে চায়। যেসব নদী থেকে তারা পানি নেবে সেই নদীগুলোর ভাটিতেই বাংলাদেশের অবস্থান। ফলে পানি যখন তারা নিয়ে যায়, তখন বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেই নিয়ে যায়। পানির ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা আগ্রাসী। শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে তারা নিজেদের প্রয়োজনে জোর করে পানি নিতে চায়। তারা বাংলাদেশের ব্যাপারটি কখনোই বিবেচনা করে না। ১৯৯৭ সালের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে খুব স্পষ্ট করে বলা আছে, একটি অববাহিকার পানি অন্য অববাহিকায় না নেওয়া হোক। উজানের কোনো দেশ এমন কোনো কাজ যেন না করে যাতে ভাটিতে যারা আছে তাদের মানুষ, গাছপালা, পশুপাখি বা অন্য কোনো কিছুর ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই আইনটিতে বাংলাদেশ ও ভারত এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন করেনি। যদি ভারত এবং বাংলাদেশ এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করত তাহলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে অভিযোগ জানাতে পারতাম। যেটা সম্ভব হচ্ছে সমুদ্রসীমার ক্ষেত্রে। পানি নিয়ে আমাদের কথা বলার সুযোগ হলো একমাত্র দ্বিপাক্ষিক। যেমন সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক গঙ্গা পানি চুক্তি হয়েছে ১৯৯৬ সালে। সেখানে একটি ধারায় বলা আছে যে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে এর আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানি বাংলাদেশ ও ভারত ভাগাভাগি করে নেবে। এটা একটা চুক্তি, আইন নয়।

বুধবার : শেখ হাসিনার ২০১০-এর দিল্লি সফর এবং ড. মনমোহন সিংয়ের সেপ্টেম্বরের ঢাকা সফরের সময় ভারতের দিক থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, টিপাইমুখ প্রশ্নে বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো প্রকল্প তারা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ভারত গতমাসে বাংলাদেশকে না জানিয়েই টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ প্রশ্নে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারতের এই ভূমিকাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : ভারতের ভাষাটি সম্পূর্ণ বিমূর্ত। তারা বলেছে যে, এমন কিছু করবে না যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। তারা একটি জয়েন্টভেঞ্চার কোম্পানি করার জন্য এবং অর্থ লগ্নি করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই ধরনের কূটনৈতিক ভাষা ভারত অনেক আগে থেকে ব্যবহার করে আসছে। ফারাক্কা যখন হয়েছিল তখন শুরু করার সময় বলেছিল এটি পরীক্ষামূলক। বাংলাদেশ যেহেতু কূটনৈতিকভাবে দুর্বল সেহেতু ভারত পরে এটি বড় আকারে শুরু করে। টিপাইমুখের ব্যাপারে ভারত এখন বলতে পারে, আমরা একটি চুক্তি করেছি। সামনে এমন কিছু করবো না যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। এরপর প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে, নির্মাণ কাজ শুরু হবে, তখন বলবে, আমরা এটাকে এমনভাবে পরিচালনা করবো না যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। পরে যখন পানি আটকাবে বা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তখন বলবে, আমরা ভেবেচিন্তে দেখছি কি করা যায়। বাংলাদেশে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের কূটনৈতিক ভাষা অনেক দুর্বল। তারা আগেই ভয় পেয়ে যান। আন্তর্জাতিক যে কনভেনশন আছে সেখানে বাংলাদেশ যদি বিগত বছরগুলোতে ভারতকে উৎসাহিত করে একসঙ্গে স্বাক্ষর করতে পারত তাহলে সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়া সম্ভব হতো। টিপাইমুখে চুক্তি নিয়ে এখনো সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিবাদ করেনি, করার কোনো মুখও নেই। শেখ হাসিনা যখন ২০১০ সালে দিল্লি সফরে যান তখন ৫১ দফার একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। তার ৩০ নম্বর দফাতে লেখা আছে যে, টিপাইমুখ নিয়ে ভারত এমন কিছু করবে না যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। এরপর মনমোহন সিং যখন ঢাকা সফরে আসলেন তখন ৬৫ দফার একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। তার ২১ নম্বর দফাতে টিপাইমুখ নিয়ে একই কথা হুবহু লেখা আছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের মাত্র চার মাস পর ২৪ মে টিপাইমুখ নিয়ে এনএইচপিসি, এসজেভিএন ও মণিপুর রাজ্য সরকারের মধ্যে একই পরিমাণ অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে একটি সমঝোতা চুক্তি করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিছু বলতে পারেনি। এই পথে বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করা দরকার ছিল। সরকারের ভেতর যেমন দলীয়করণের একটা মনোভাব আছে। আবার আমাদের বিশেষজ্ঞরাও দুইভাগে বিভক্ত। এর ফলে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশেই এমন পানি বিশেষজ্ঞ আছে যারা বলছে টিপাইমুখের ফলে আমাদের লাভ হবে। বলা হচ্ছে টিপাইমুখ হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হবে। অনেক অতীতে এই ধরনের ধারণা ছিল। তখনকার ধারণাটা হচ্ছে, জলাধার নির্মাণ করলে যখন বৃষ্টিপাত হয় তখন জলাধারে পানিটা আটকে যায়। এভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হয়। কিন্তু ওই জলাধারটা তো বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। অতএব যখন বৃষ্টিপাত হবে তখন জলাধার ভরাটই থাকবে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, জলাধার থেকে পানি যখন ছাড়বে তখন শুকিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আমাদের নদীগুলো পানি পাবে। পানি থাকবে, কিন্তু নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি পর্যন্ত। যে পানি নদীতে থাকবে বলা হচ্ছে সেটা কোন নদী তা বুঝতে হবে। এটা সিলেট এলাকার নদী। এই এলাকার নদীতে শীতকালে পানি থাকার মানে হলো সেখানকার যে একফসলী জমি সেগুলো আর জাগবে না। শীত মৌসুমে পানি আসার কারণে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বোরো ধান থেকে আমরা বঞ্চিত হব।

বুধবার : খোদ ভারতের মণিপুরসহ ওই অঞ্চলে টিপাইমুখ ড্যামবিরোধী আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশে টিপাইমুখের ব্যাপারে আন্দোলনের আদৌ কোনো ব্যাপকতা আছে বলে মনে করেন কিনা?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : অবশ্যই ব্যাপকতা আছে। টিপাইমুখ বাঁধের ব্যাপারে জেলায় জেলায় কমিটি হয়েছিল। সিলেট বিভাগে একটা বড় ধরনের আন্দোলন আছে। এখন ব্যাপারটা হলো যে, দলীয়করণের মাধ্যমে এই আন্দোলন অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। যারা সকার সমর্থক তারা অনেকে আন্দোলন থেকে পিছিয়ে এসেছেন। তারা যেটা সঠিক তার পক্ষে থাকার চেয়ে, দলের পক্ষে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। ভারতের মণিপুর এলাকায় যে নাগারা আছে, যারা ডুবে যাবে এই প্রকল্পের কারণে, তারা আন্দোলন করছে। ওই এলাকার যারা আন্দোলনকারী তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু কিছু যোগাযোগ আছে।

বুধবার : টিপাইমুখ প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নতজানুমূলক। ভারত প্রশ্নে বিএনপি আমলেও সরকার নতজানুমূলক ছিল, এখন আওয়ামী লীগ আমলেও নতজানুমূলক। বিএনপি বাইরে প্রচার করে যে সে ভারতের পক্ষে না। আর আওয়ামী লীগ প্রচার করে যে, ভারত আমাতের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সব আমলেই নতজানুমূলক ভূমিকা দেখা গেছে। আমি বলব, সরকার বলতে শুধু দল না। যারা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকেন তারাও সরকার। তারা কূটনীতিক, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাদের মধ্যে কি ধরনের প্রস্ত্ততি আছে, তারা কি করেন, এটাও একটি প্রশ্ন। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য তাদের প্রস্ত্ততি আমার কাছে একটি বড় প্রশ্নের বিষয়।

বুধবার : তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিটি স্বাক্ষরিত না হওয়ার বদলে দীর্ঘ মেয়াদে ঝুলে গেছে বলেই অনেকে বলছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রাজি করানোর দায়িত্ব বাংলাদেশকে দিয়েছেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় বাংলাদেশের জড়িয়ে পড়াকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : মমতা যখন বাংলাদেশে এলেন না, তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর গলায় বললেন, কেউ আসলো কি না আসলো তাতে কিছু আসে যায় না, তিস্তা চুক্তি হবে। তখন তার দৃষ্টিতে মমতা ছিলেন ‘কেউ’। কিন্তু পরিস্থিতি যখন পাল্টে গেল, তখন মমতার কাছেই তাকে দৌড়াতে হচ্ছে। এতে একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে, তাদের রাজ্যগুলো অনেক শক্তিশালী এবং কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের একটা দ্বন্দ্ব আছে। তিস্তার পানি নিয়ে কিছু ভেতরগত সমস্যা আছে। শীতের মৌসুমে তলানী প্রবাহ হিসেবে যে পানি আসতো তা কমে গেছে। এর কারণ হলো সিকিমে যেসব উপনদী থেকে তিস্তায় পানি আসে সেসব নদীতে অনেক ড্যাম করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার তিস্তা সেচ প্রকল্প ব্যর্থ হতে চলেছে। বাংলাদেশেও তিস্তা সেচ প্রকল্প ব্যর্থ হতে চলেছে। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে তিস্তা সমস্যা সমাধানে এগুতে পারত। কিন্ত দায়িত্বরতরা বেশি কথা বলে সব কিছু গুলিয়ে ফেলেছেন।

বুধবার : ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বদলে ভারত কমপক্ষে ৪০টি নদীতে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনাসহ বিভিন্নভাবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করেছে। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : বাংলাদেশের জন্য এখন করণীয় হলো দ্রুত কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারতকে রাজি করিয়ে ১৯৯৭ সালের নদী কনভেনশনে স্বাক্ষর করানো। ভারত যদি স্বাক্ষর করে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা থাকবে। এছাড়া সরকারের উচিত যারা এসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের সঠিক তথ্য দেওয়া এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা। আমরা যারা পানি বা নদী নিয়ে কথা বলছি, তারা যে সবসময় সরকার পতনের জন্য আন্দোলন করছি তা নয়। আমরা দেশের সামগ্রিক স্বার্থে কথা বলছি।

বুধবার : পানি বণ্টনে ভারতের এই বৈরীতার প্রশ্নে বাংলাদেশের জনগণের ভূমিকা কি হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : এটি কিন্তু ভারতীয় জনগণের বৈরীতা নয়। এটি হচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এবং সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের অবাস্তব নীতির ফল। ভারতে প্রচুর পরিমাণে নিষ্পেষিত জনগণ আছে। সেখানে আমাদের দেশের জনগণ এবং ওই দেশের জনগণের সঙ্গে একটি যোগাযোগ করে পরিবেশ রক্ষা ও জনগণের সম্পদ রক্ষার আন্দোলন করতে হবে। আমাদের এখানে আন্দোলনকারীর অভাব নেই। যদি আমরা প্রজ্ঞার সঙ্গে ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে হয়তো এই ধরনের ধ্বংসাত্মক প্রকল্প থেকে ভারতকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।

বুধবার : অভিন্ন নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক : বাংলাদেশে যে সরকারগুলো আসে তারা স্থায়ীত্বের সংকটে ভোগে। তারা বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে এবং ক্ষমতায় এসে সেগুলো কিছুই করে না। এর ফলে তারা দ্রুত জনসমর্থন হারায়। তখন তারা মনে করে, কোনো বড় শক্তির পাশে না দাঁড়ালে টিকে থাকতে পারবে না। এখন ভারত এ এলাকায় বড় দেশ। কিন্তু দুই দেশের প্রতিনিধিরা যখন আলোচনায় বসেন তখন তো আমাদের দেশের প্রতিনিধির মেধা-যোগ্যতা ও ধীশক্তি বেশিও থাকতে পারে। কিন্তু আমরা একটা কাল্পনিক আশঙ্কায় ভুগি। এটা হলো একটা মানসিকতা। এই মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে পারলে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ভালো পথ রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন