শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১১

 বৈশ্বিকরূপে ওয়াল স্ট্রিট-বিরোধী আন্দোলন

করপোরেট লোভ আর সরকারের কাটছাঁট নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে চলতে থাকা ওয়াল স্ট্রিট-বিরোধী আন্দোলন বৈশ্বিক রূপ নিয়েছে। যোগাযোগের সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, ইতালি, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও জাপানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনের আয়োজকেরা জানিয়েছেন, আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার ৮২টি দেশের ৯৫১টি শহরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
শত শত লোক বিক্ষোভ করেছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে। আন্দোলন সম্পর্কে ‘মেলবোর্ন দখল করো’ সংগঠনের মুখপাত্র নিক কারসন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্র চায়।’ বার্লিনের একজন সম্পাদক বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি এই ধরনের প্রতিবাদের জন্য অপেক্ষা করছি।’
জাপানের রাজধানী টোকিওতে কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এদের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধীরাও ছিল। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যনিলাতেও মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে।
তবে ইতালির মিলানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ব্যাংক লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ডিম নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভ হয়েছে গ্রিসের এথেন্স নগরেও।
‘স্টক এক্সচেঞ্জ দখল করো’ ব্যানারে লন্ডনে বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্দোলন-কর্মীরা। এ ধরনের বিক্ষোভ সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশও প্রস্তুত রয়েছে।
তবে সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ডাক দেওয়া এ বিক্ষোভে কতসংখ্যক লোক অংশ নেবে, তা বলা মুশকিল। সংগঠকেরা আশা করছেন, তাঁদের ডাকে সারা বিশ্বের মানুষ সাড়া দেবে এবং করপোরেট-বিরোধী আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
মার্কিন করপোরেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক কেন্দ্র ম্যানহাটনের ওয়াল স্ট্রিটে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। দিন যতই গড়াচ্ছে, ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল করো’ আন্দোলন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি শহরে। আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। আন্দোলনকারীরা মূলত সুশাসন, অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন