সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

বাবার লাশের ছবি দেখে অসুস' হয়ে পড়লেন আয়েশা গাদ্দাফি


লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির আটক হওয়ার খবর শুনে তার মেয়ে আয়েশা গাদ্দাফি উদ্বিগ্ন চিত্তে বাবার স্যাটেলাইট টেলিফোনে কল করেন। কিন' গাদ্দাফির পরিবর্তে ওই ফোন রিসিভ করেন একজন এনটিসি যোদ্ধা। আয়েশা তার বাবার খবর জানতে চাইলে ওই যোদ্ধা ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘কোঁকড়া চুলের বুড়ো বেঁচে নেই, সে মারা গেছে।’
আলজেরিয়ায় অবস'ানরত আয়েশা গাদ্দাফিকে (৩৪) অনেক বিদ্রোহী নেতা এ রকম ভাষাতেই তার পিতার মৃত্যুর খবর জানান। পরে টেলিভিশনে বাবা ও ভাইয়ের লাশ দেখে আয়েশা অসুস' হয়ে পড়েন। তাকে আলজেরিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজন বিদ্রোহী কমান্ডার জানান, গাদ্দাফির মৃত্যুর কিছুক্ষণ পর তার স্যাটেলাইট টেলিফোনে একটি কল আসে। একজন এনটিসি যোদ্ধা কলটি রিসিভ করেন। অপর প্রান্ত থেকে আয়েশা তার বাবার অবস'া জানতে চাইলে জবাবে ওই যোদ্ধা বলে, ‘খেলা শেষ, আবু শাফশুফা মারা গেছে।’ আবু শাফশুফা গাদ্দাফির ডাক নাম, যার অর্থ কোঁকড়া চুলের বৃদ্ধ।
গত আগস্টে বিদ্রোহীদের হাতে ত্রিপোলির পতন হলে আয়েশা তার মা ও দুই ভাইয়ের সাথে আলজেরিয়ায় আশ্রয় নেন। আলজেরিয়া সরকার মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিতে সম্মত হয়।
এ দিকে এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে নিহত বাবা ও ভাইয়ের লাশের ছবি টেলিভিশনে দেখার পর অসুস' হয়ে পড়েছেন আয়েশা গাদ্দাফি। গাদ্দাফিকে আহত অবস'ায় আটকের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাদ্দাফির রক্তাক্ত লাশ নিয়ে বিদ্রোহীদের উল্লাসের ছবি সারা বিশ্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এসব ছবি দেখে উত্তর আফ্রিকার ক্লডিয়া শেফার্ড খ্যাত আয়েশা অসুস' হয়ে পড়েন বলে আলজেরিয়ার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন