বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

বেল্ট ওয়ান রোড - দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ফ্যাক্টর

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের তাৎপর্য ও প্রভাব নিয়ে এখন নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। চীনের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক এবং ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগে বাংলাদেশের সমর্থন নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে যেসব বিশ্লেষণ প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে এক ধরনের উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয় ভারতের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা তা নিয়ে ভারতের যে গভীর দৃষ্টি ও নানামুখী চাপ আছে তা অনুমান করা কঠিন নয়। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগে সার্কভুক্ত মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশের সমর্থন পেল চীন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে চীনের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তানকে চাপে রাখা বা একঘরে করে ফেলা। মূলত উত্তর প্রদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে উগ্রজাতীয়তাবাদী উত্তেজনা সৃষ্টি করে ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে চান মোদি। এ কারণে বহুল ব্যবহৃত ‘পাকিস্তান কার্ড’ খেলছেন তিনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রচারণা ভারতের জনমতকে সাময়িকভাবে তার পক্ষে এনেছে। অন্য দিকে, সার্ক সম্মেলন বর্জনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে চাপে ফেলার ক্ষেত্রেও কিছুটা সফল হয়েছেন মোদি। কিন্তু এর বিপরীতমুখী নানা ধরনের প্রভাবও লক্ষ করা যাচ্ছে। সার্কের বদলে (বে অব বেঙ্গল ইনেশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) বিমসটেকের ব্যাপারে ভারত অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এবার ভারতের গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয় (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল)। এর মাধ্যমে ভারতের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে, পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে ভারত এগিয়ে যেতে চায়। সার্ক নয় ভারতের নেতৃত্বে বিমসটেক হবে এ অঞ্চলের প্রধান জোট এমন আকাক্সক্ষার প্রকাশ ঘটছে। কিন্তু ভারতের এই আকাক্সক্ষা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও নিরাপত্তাবিশ্লেষক এম কে ভদ্রকুমার চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকে নিয়ে এক নিবন্ধে বিমসটেক নিয়ে ভারত অলীক কল্পনার মধ্যে আছে বলে উল্লেখ করেছেন। 
পাকিস্তানকে একঘরে করতে বিমসটেক নিয়ে এগিয়ে যেতে ভারতের এই উদ্যোগে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। ভারতের এ ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় চীন কোনো পক্ষ হচ্ছে না বটে। কিন্তু চীনের অবস্থান ভারতের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। যেমন গোয়ায় ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট) সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর বলে উল্লেখ করেন। তিনি পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বেছে বেছে এগোনোর কোনো সুযোগ নেই এমন যুক্তিও দেখান। কিন্তু মোদির সন্ত্রাসবিষয়ক এই অবস্থানের তেমন কোনো প্রতিফলন পাওয়া যায়নি ব্রিকস সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায়। আউটরিচ সম্মেলনে শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন।

ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করা কতখানি প্রয়োজন, চীন ও রাশিয়াসহ ব্রিকসের অন্য সদস্যদের তা বোঝানোর জন্যও ভারত সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছে। তাতে খুব একটা ফল আসেনি। সন্ত্রাস প্রশ্নে ভারতের অবস্থানের সাথে চীন ও রাশিয়া যে একমত নয়, তা অনেক আগে থেকে স্পষ্ট ছিল। সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরিতে ভারতের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর পাকিস্তান প্রশ্নে ভারতের সাথে চীন ও রাশিয়ার মতবিরোধের বিষয়টি সামনে চলে এসেছিল। উরির হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও বেইজিং তাদের পুরনো মিত্র ইসলামাবাদের পাশেই দাঁড়ায়। এমনকি জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘে ভারতের একটি উদ্যোগের বারবার বিরোধিতা করছে চীন। অন্য দিকে উরিতে হামলার পরও রাশিয়া পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে তাদের নির্ধারিত যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেনি। ভারতের পক্ষ থেকে এই মহড়া বাতিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সর্বশেষ, ব্রিকস সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়ার অবস্থানের যেকোনো পরিবর্তন হয়নি, তা আবারো স্পষ্ট হলো। ব্রিকস সম্মেলন শেষে বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুং পাকিস্তান সন্ত্রাসের আঁতুরঘর মোদির এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কোনো বিশেষ দেশ, জাতি বা ধর্মের সাথে সন্ত্রাসের সম্পর্ক নাকচ করছি। এটাই চীনের অবস্থান। তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করছে। অন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাতে সম্মান জানানো উচিত। কার্যত চীন এই স্পষ্ট অবস্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের পক্ষেই দাঁড়ালো। এমনকি সন্ত্রাস প্রশ্নে ভারতের ব্যাখ্যা চীন বা রাশিয়ার মতো ব্রিকসের অন্য সদস্য দেশগুলোও গ্রহণ করতে পারেনি; এমন প্রশ্ন ভারতেই উঠতে শুরু করেছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে এখন যেমন নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মোদি সরকারকে, তেমনি পাকিস্তানকে একঘরে করার ক্ষেত্রে কতটা সাফল্য আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্য দিকে ভারত যখন বিমসটেক নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তখন পাকিস্তানও নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর মুশাহিদ হোসেন সৈয়দ জানান চীন, ইরান ও মধ্যএশিয়ার দেশগুলো নিয়ে পাকিস্তান বৃহত্তর দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের জোট গঠনের প্রচেষ্টা বিমসটেকের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে ভারতের উদ্যোগের বিপরীতে ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের একটি নতুন উদ্যোগ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের এই উদ্যোগ বাস্তবে রূপ দেয়া খুব সহজ না হলেও এমন জোট গঠন করা সম্ভব হলে বিমসটেকের চেয়ে শক্তিশালী হতেও পারে। কারণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে কেন্দ্র করে ইরান, চীন ও মধ্যএশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা দীর্ঘ দিন কাজ করছে। এ ছাড়া বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ভারতের সমর্থনে ভারতের পুরনো বন্ধু ইরান ক্ষুব্ধ। বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে এখন ইরান ও পাকিস্তান ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কারণ বেলুচিস্তানে অস্থিরতা দুই দেশের জন্যই হুমকি। এরই মধ্যে ইরানের সাথে পাকিস্তান সামরিক সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। দুই দেশের নৌবাহিনীর যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সার্ককে অকার্যকর রেখে ভারতের নেতৃত্বে বিমসটেক কতটা সফল হবে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ভদ্রকুমারের বিশ্লেষণ থেকে। ওয়েক আপ ইন্ডিয়া, বিমসটেক ইজ অ্যা রিভেরি (Wake up, India! BIMSTEC is a reverie.) শিরোনামে তিনি লিখেছেন,

Regional groupings built on such zero-sum mindset in the era of globalization have limited future. Regional groupings thrive only if they are willing to be inclusive. The so-called ‘Bay of Bengal regionalism’ can never mean that Sri Lanka or Bangladesh or Myanmar or Thailand would be willing to forgo their cooperation with China for the sake of bonhomie with India in a seaside resort facing the Indian Ocean. Simply put, China happens to be much more meaningful and tangible as partner country from their point of view than what BIMSTEC can ever hope to offer them even with the best Indian ingenuity. That is the geopolitical reality. How long can India pretend to beat its ineffectual wings in the void in vain?

“বিশ্বায়নের যুগে এমন ‘জিরো সাম’ মানসিকতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয়। এ ধরনের গ্রুপিং ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠে যদি তাদের ইচ্ছা থাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার জন্য। কথিত বঙ্গোপসাগর আঞ্চলিকতাবাদ কখনো এটি বোঝায় না যে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মিয়ানমার কিংবা থাইল্যান্ড ভারত মহাসাগর তীরবর্তী কোনো অবকাশযাপন কেন্দ্রে ভারতের সাথে দহরম-মহরমের স্বার্থে চীনের সাথে সহযোগিতা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক হবে। প্রাসঙ্গিক সমস্যা সমাধানে ভারতের সর্বাধিক পারদর্শিতা যদি থাকেও, বিমসটেক এসব দেশকে তা দিতে পারার আশাও করতে পারে না, যা অনেক বেশি দিতে পারবে চীন। এটিই ভূ-রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা। ভারত কত দিন শূন্যের মাঝে বৃথাই তার অকেজো ডানাগুলো ঝাপটানোর ভান করে যেতে পারবে।”

ভদ্রকুমারের এই বিশ্লেষণের প্রতিফলন ঘটেছে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মধ্যে। চীনের সাথে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে এ দেশে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো শুধু নয় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা চীনের সাথে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ অনুভব করছিলেন। ভারতের সাথে বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও বাস্তব কারণে চীনের সাথে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। চীনও তাতে আগ্রহী। এম কে ভদ্রকুমার তার বিশ্লেষণে বিষয়টি তুলে ধরেছেন এভাবে

our pundits may look somewhat foolish in their assumption that Bangladesh is desperate for India’s leadership to scuttle the SAARC and lead a purposive sub-regional grouping with Nepal, Bhutan and Bangladesh. Get real, folks. The geopolitical reality is that in the field of economy and defense, China is firmly ensconced as Bangladesh’s irreplaceable partner. Again, with or without Indian participation, Bangladesh is bent on developing connectivity with Yunnan.

‘আমাদের পণ্ডিতদের বোকা মনে হতে পারে এ কারণে যে তাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশ সার্ককে ব্যর্থ প্রতিপন্ন করার জন্য ভারতীয় নেতৃত্বের দিকে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছে এবং নেপাল ভুটান বাংলাদেশ মিলে একটি উদ্দেশ্যমূলক উপ-আঞ্চলিক গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবপরিবর্তনীয় অংশীদার হিসেবে চীন খুবই নিরাপদ। ভারত অংশ নিক বা না নিক চীনের ইউনান প্রদেশের সাথে কানেকটিভিটির জন্য বাংলাদেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে চীনের সাথে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুটে সংযোগ জরুরি। এ ধরনের অর্থনৈতিক করিডোরের ব্যাপারে চীন অনেক আগে থেকে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে, বিশেষ করে অবকাঠামো নির্মাণে চীন ২৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রস্তাব করেছে। এই অবকাঠামো কোথায় কিভাবে হবে, তার বিশদ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক বেশ কিছু প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণ এর অন্তর্ভুক্ত, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এর মধ্যে কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ, আনোয়ারায় চীনের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল গঠন, বাঁশখালীতে বেসরকারি উদ্যোগে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, সীতাকুণ্ড থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ ওয়ে নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের মতো প্রকল্পগুলোতে চীনের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। চীনের দক্ষিণাংশের সাথে বাংলাদেশের কক্সবাজারের মধ্যে একটি সংযোগ সড়ক স্থাপন চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট উদ্যোগের অংশ হতে পারে। এখন বাংলাদেশের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগী হওয়া। মনে রাখতে হবে, ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা থেকে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এ কারণে চীনের আগ্রহ ও বাংলাদেশের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা যাচ্ছে না। সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে এমন প্রতিবন্ধকতা যাতে না আসে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশকে এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন