বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত আন্তঃনদী সংযোগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত। বাংলাদেশমুখী অভিন্ন নদীগুলোও এর আওতায় থাকার ফলে ভয়ানক ক্ষতিতে পড়বে ভাটির এই দেশটি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারিভাবে এ সম্পর্কিত কোন তথ্যই পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারত তার ৩৭টি বড় নদীর পানি অপসারণের বহুল বিতর্কিত কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু ভাটির দেশ বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে কিছুই অবহিত করেনি তারা। ৩৭টি নদীর মধ্যে উত্তর ও মধ্য প্রদেশের মধ্যে বহমান কোন নদী ও বেতওয়া নদীর মধ্যে সংযোগের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। ভারত এই আন্তঃনদী সংযোগের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি হেক্টর জমিতে সেচ দিতে এবং ৩৪ হাজার মেগাওয়াট (৩৪ গিগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। এজন্য ৩ হাজার বৃহদাকার ড্যাম তৈরীর প্রয়োজন পড়বে। ভারতের এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৩৭টি নদীকে ৩০টি সংযোগ খালের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। এসব সংযোগ খালের মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার। পরিকল্পনা অনুযায়ী সংযোগ খালেগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ গড়ে ৪০০ কিলোমিটার, প্রশস্ত ৫০-১০০ মিটার ও প্রায় ৬ মিটার গভীর হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় হিমালয়ান ১৪টি ও পেনিনসুলার ১৬টি নদী অন্তর্ভুক্ত হবে। এর বাইরে আছে আরো ৭টি নদী। এর আগে একই বেসিনের মধ্যে পানি প্রত্যাহার করা হলেও এখন এক বেসিন থেকে আরেক বেসিনে পানি প্রত্যাহার করা হবে। যা আন্তর্জাতিক নদী আইনের আওতাকে ছাড়িয়ে যাবে। সূত্র মতে, বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি গঙ্গায় এবং গঙ্গার পানি আরো উত্তরে সরিয়ে নেয়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে বিপুল প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে সেটা আমলে নিচ্ছে না ভারত। গত বছর জুলাই-এ বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ভারতীয় পক্ষকে পানি প্রত্যাহার বিষয়ে বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্রিুতির বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু তারা এর জবাব আজো দেয়নি।
আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের অতিরিক্ত সব পানি আসবে হিমালয় অঞ্চলের নদীগুলো থেকে- যার মধ্যে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মানস, সংকোশ, তিস্তা, মেচি, কোশী, ঘাগরা, গন্ডক, সারদা ইত্যাদি অন্যতম। এসব নদীর পানি সংযোগ খালের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভারতের গঙ্গা ও যমুনা নদীতে নেয়া হবে এবং সেখান থেকে আবার সংযোগ খালের মাধ্যমে সুদূর দাক্ষিণাত্যে এবং হরিয়ানা, রাজস্থান ও গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হবে। এই বিপুল কার্যক্রম সম্পর্কে ভারত কোন তথ্য জানাতে বাংলাদেশকে বরাবরই উপেক্ষা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ২০১২ সালে মে মাসে ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক প্রেসব্রিফিং-এ বলেন, ‘আন্তÍঃনদী সংযোগ প্রকল্পে হিমালয়ের কোন নদীর সংশ্লিষ্টতা নেই।’ অথচ হিমালয়ান ১৪টি নদী এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকরা এবিষয়ে মন্তব্য করেন, ভারতের অর্থমন্ত্রীর এ বিষয়ে হয় জ্ঞানের অভাব নতুবা সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। বাংলাদেশের (তৎকালীন) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাক ভূমিকা থেকে প্রতীয়মান হয়, তিনিও এ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের সমস্ত পানি হিমালয় থেকে বয়ে আসা প্রধান নদীগুলোর পানি- যা সংযোগ খালের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করার কাজ যে অব্যাহতভাবে চলছে সেবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন।
পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য
সূত্রগুলো জানায়, হিমালয়ান অংশে ভারতের এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা এই প্রধান নদী দু’টি সংযোগ খালের সাথে যুক্ত করা। এ জন্য সংযোগ খালের সাহায্যে ব্রহ্মপুত্র থেকে প্রথমে তিস্তা নদীতে এবং তিস্তা নদী থেকে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা বাঁধের উজানে পানি আনা হবে। ফারাক্কা পয়েন্ট থেকে সংযোগ খাল কেটে উড়িষ্যার সুবর্ণ রেখা ও মহানদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের এই অংশটি পশ্চিম বাংলা ও আসাম রাজ্যে বাস্তবায়িত হবে। অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, ভাইগাই প্রভৃতি নদীগুলোকে সংযুক্ত করা হবে। এই প্রকল্প উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়–, কেরালা, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। অপর একটি প্রকল্পে গঙ্গা নদীর কয়েকটি উপনদী যেমন গন্ডক, ঘাগরা, সারদা ও যমুনা যুক্ত করা হবে। যমুনা থেকে খাল কেটে পানি সদূর রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আর একটি সংযোগ খালের মাধ্যমে সাবরমতি নদীর পানি আগের উল্লিখিত ধারার সাথে যুক্ত করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যেগুলোতে পানি সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পে শুধু সংযোগ খালই খনন করা হবে না, পানি ধরে রাখার জন্য এবং ধরে রাখা পানিকে নদী প্রবাহের প্রাকৃতিক গতির বিপরীত দিকে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে বাঁধ, ব্যারেজ ও জলধার নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও অনেকগুলো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষিতই থাকছে
ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকারকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী গত মে মাসের মাঝামাঝি বলেন, নদী সংযোগের কাজ ‘কয়েক দিনের’ মধ্যেই শুরু হতে পারে। উল্লেখ্য, এ প্রকল্প দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। কারণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ নিয়ে বিরোধিতা ও পরিবেশবাদী বিশেষজ্ঞদের আপত্তি ছিলো। তবে ২০১২ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ভারতের এই নদী সংযোগ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে খালের মাধ্যমে পানি সরিয়ে নেয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর উৎসমুখ বা এর কাছাকাছি উজান থেকে পানি সরিয়ে নেয়া হলে নদীটির নিচের দিকে পানির সংকট দেখা দেবে- এটা সাধারণ হিসাব। এই নদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত যে পানি সরাবে, তার কোনো ভাগ বাংলাদেশ পাবে কি না বা পানির ভাগাভাগি কীভাবে হবে, তার কিছুই পরিষ্কার নয়। তবে সব পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরাই বলছেন যে, নদী সংযোগ প্রকল্প ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রকল্প হিসেবে দাবি করা হলেও নদীগুলো যে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত তা কোনভাবেই উপেক্ষা করার উপায় নেই। যে নদীগুলোর উজান থেকে ভারত পানি সরাবে, সেই পানির ওপর বাংলাদেশের জনগণের জীবন-জীবিকা, এখানকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ও প্রকৃতি সবই নির্ভরশীল। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান-এ গত ১৮ মে ভারতের এই নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প শুধু দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেই নয়, বরং প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গেও বিরোধ ডেকে আনতে পারে। ভারতের এ প্রকল্প গঙ্গা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাটিতে বসবাসকারী ও জীবন-জীবিকার জন্য নদীর ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের ১০ কোটি মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে। নদী শুধু পানির উৎস হিসেবে নয় দেখতে হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ইকো সিস্টেম হিসেবে। অন্যদিকে নদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়টি আলোচিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের সরকার পর্যায়ে তেমন কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে না। জনগণকে এবিষয়ে কিছু জানানোর প্রয়োজনও মনে করা হচ্ছে না। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো বা আশস্ত করা হয়েছে কি না, সেটাও কোনো তরফে পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি
ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই মরুকরণ প্রক্রিয়া, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ জীব-বৈচিত্র্যের বিনাশসহ অসংখ্য পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর পর ভারতের পরিকল্পিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব দরবারে সবুজ, সুফলা এবং মাছে-ভাতের দেশ হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ অতি দ্রুত মরুভূমিতে পরিণত হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খানের মতে, শুধু ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহারের ফলে খুলনা অঞ্চলের পানি লবণাক্ততা ফারাক্কা বাঁধ পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নদীর প্রবাহ অনেক কমে যাবে এবং সমুদ্রের লোনা পানি দেশের অনেক অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশে মরুকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। লবণাক্ততার কারণে ধান চাষ ব্যাহত হবে এবং মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে। আন্তঃনদী সংযোগের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার করা হলে শুষ্ক মওসুমে ভূ-উপরিভাগের পানি আর পাওয়া যাবে না। তখন সেচের পানির জন্য শুধু পাতাল পানির উপর নির্ভর করতে হবে। পাতাল পানির পুনর্ভরণ বা রিচার্জে বৃষ্টি শতকরা ২০ এবং নদী প্রবাহের পানি প্রায় ৮০ ভাগ ভূমিকা রাখে। নদীর প্রবাহ কমে গেলে বা বন্ধ হলে এই পুনর্ভরণ প্রক্রিয়ার ৮০ ভাগই বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছরই নিচে চলে যাবে এবং নলকুপ থেকে ২৬ ফুট বা ৮ মিটার এর বেশী নিচে চলে গেলে অগভীর নলকূপের মাধ্যমে কোন পানি পাওয়া যাবে না। উল্লেখ থাকে, খাবার পানি, সেচের পানি এবং অন্যান্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ অগভীর নলকূপ আছে। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান উৎপাদনসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। পানির স্তর নিচে নামলে ভূগর্ভস্থ আর্সেনিক বেশী করে পানির সঙ্গে উপরে উঠে আসবে। পানিতে আর্সেনিক ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আর্সেনিক বিষাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরো ব্যাপক জনগণের ওপর পড়বে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানিতে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অধিক মাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এর ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট বৃহৎ অংশ, ৪ কোটিরও বেশী লোক আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আন্তঃনদী সংযোগ বাস্তবায়িত হলে এ ঝুঁকি আরও অনেক বাড়বে। নদ-নদীর প্রবাহ কমে গেলে নাব্যতা কমে নৌ-চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দেশের নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু ভারত উজানে বিপুল পরিমাণ পানি সরিয়ে নেয়ার কারণে ২০১৩ সালে নৌপথ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২,০০০ কিলোমিটার। তার মতে, আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বাঁধের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার মানেই নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত করা। তাই ভূমিকম্প, পানির চাপ বা অন্য কোন কারণে কোন একটি বাঁধ ভেঙে গেলে উজান থেকে আসা পানির তোড়ে বাংলাদেশে বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে পারে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে ড. এস আই খান বলেন, একাধিক দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর ব্যবহার সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি প্রবাহ, গতিধারা, নদী তীরের এবং ধারক অঞ্চলের পরিবেশে ও জীব-বৈচিত্র্যসহ সব ধরণের তথ্য প্রতিটি দেশ পরম্পরকে দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্যগুলো কোন সময়ই বাংলাদেশকে প্রদান করেনি। তাই একতরফাভাবে এই নদীগুলোর পানি প্রত্যাহার, নদীতে বাঁধ নির্মাণ কিংবা নদীর পরিবর্তন বা পরিবর্ধন অবশ্যই আন্তর্জাতিক নদী আইনের পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন