শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫

ভারতকে দেয়ার আর কি বাকি রইল?

বাংলাদেশের কাছে ভারতের চাওয়ার আর বোধহয় তেমন কিছু নেই। যা কিছু চাওয়ার, আমাদের সরকার একে একে সবই দিয়ে দিয়েছে। ক’দিন আগে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। অনুপ চেটিয়া প্রায় ১৮ বছর বাংলাদেশের কারাগারে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল এবং সেসব মামলায় যে সাজা হয়েছিল, তা তিনি খেটেছেন। সাজা খাটার পরও তিনি বহুদিন কারাগারে ছিলেন। ভারত অনুপ চেটিয়াকে বহুবার ফেরত চেয়েছে। নানা কারণে বাংলাদেশ তাকে ফেরত দেয়নি। এমনকি ২০১৩ সালে দু’দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করা হয়নি। এবার অতি সংগোপনে তাকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কাক-পক্ষীও জানতে পারেনি। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ চেটিয়ার ভারতে পৌঁছার আগ পর্যন্ত তার হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে পারেননি। খবরে জানা গেছে, তার ভারতে পৌঁছার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তর দ্রæতায়িত হয়েছে। এনডি টিভির এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেয়েছিলেন এক ধরনের বিনিময় ব্যবস্থা। অর্থাৎ ভারতে অবস্থানরত কয়েকজন ক্রিমিনালকে বাংলাদেশে ফেরত দেয়ার বিনিময়ে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফেরৎ পাঠাতে কোনো শর্ত যুক্ত করতে চাননি। কিসের ভিত্তিতে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুধু এটুকু বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে, তার ভিত্তিতেই তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই সুম্পর্কের ভিত্তিতেই নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। এমন অনুমান অনেকেরই, অনুপ চেটিয়ার বিনিময়ে নূর হোসেনকে ফেরত আনা হয়েছে। এই অনুমানের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকলেও যেহেতু অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর এবং নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর প্রায় একই সময়ে হয়েছে, সে কারণে এ ধরনের অনুমান বা ধারণার জন্ম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক বদরুদ্দীন উমর তার এক লেখায় বলেছেন, ‘এ হস্তান্তর ঘটনার আরেকটি অতি নিন্দনীয় দিক হচ্ছে এই যে, কার্যত অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরের বিনিময়ে ভারত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফেরত দিয়েছে। এটা এক কেলেঙ্কারির কথাও বটে। কারণ অনুপ চেটিয়া এবং নূর হোসেন কোনো তুলনীয় ব্যক্তি নয়। অনুপ চেটিয়া হলেন ভারতের একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নূর হোসেন হলো একজন ভয়ংকর ক্রিমিনাল।’
বিষয়টি সরকারের দিক থেকে খোলাসা করা উচিত ছিল। এক্ষেত্রেও সরকারের তরফের বক্তব্য এ রকম যে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতেই নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উভয় হস্তান্তরের ব্যাপারেই এক ধরনের রাখঢাকের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন কেন অনুপ চেটিয়াকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটি পরিষ্কার করে জনগণকে জানানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন। বলেছেন, এই ইস্যুটিকে আর গোপনীয়তার আবরণে রাখা ঠিক হবে না। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য ইস্যুটি সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, যেহেতু গোপনীয়তা বা তথ্য চেপে যাওয়া বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, কাজেই বিষয়টি স্পষ্ট করে জনগণকে জানানো উচিত সরকারের।
ওয়াকিবহাল মহলের অজানা নেই। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সশস্ত্র লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ভারতের ঐক্য-অখÐতার প্রতি এটা একটা মস্তবড় হুমকি। ভারতের জন্য এটা বিরাট এক সমস্যা ও মাথাব্যথার কারণ। ভারত দীর্ঘদিন ধরে চেয়েছে, বাংলাদেশ যেন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ দমনে সহায়তা করে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের চাওয়াকে প্রাধান্যে এনে যথাসাধ্য করেছে ও করে যাচ্ছে। এর আগে উলফার প্রধান অরবিন্দ বাজখোয়াকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। আরও যাদের তুলে দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে চিত্রাবান হাজারিকা, রাজু বড়–য়া, পাশা চৌধুরী, প্রদীপ গাগৈ, মিথিঙ্গা দাইমমারে প্রমুখ। বাকি ছিলেন অনুপ চেটিয়া, তাকেও তুলে দেয়া হয়েছে। এতে ভারতের ইচ্ছা পূরণ হলেও বাংলাদেশ সরকার দেশের জন্য একটা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েছে বলেই পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন। উলফার সঙ্গে ভারত সরকারের সমঝোতার আলোচনা চলছে। আলোচনা সফল হলে ভারতের জন্য যেমন মঙ্গল, বাংলাদেশের জন্যও তেমনি স্বস্তির কারণ। কিন্তু যদি ব্যতিক্রম হয়, তাহলে বাংলাদেশ উলফার বীতরাগের কারণে পরিণত হতে পারে। মনে রাখা দরকার, ভারত উলফার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সামরিক তৎপরতা চালিয়েও সফল হতে পারেনি। এ ধরনের একটি সশস্ত্র সংগঠন অনেক কিছুই করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ভারতের অখÐতা ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ভ‚মিকা রেখেছে। ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদের যে সমস্যা তা তার একান্তই নিজস্ব সমস্যা। এই সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশের সংযুক্ত হওয়া অনুচিত বলেই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ দমনে বাংলাদেশের সহযোগিতার ভারতীয় প্রত্যাশা বাংলাদেশ সরকার তার জাতীয় স্বার্থের বিবেচনা সামনে না এনেই পূরণ করেছে। এতে সরকারের প্রতি ভারতের খুশি ও কৃতজ্ঞ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এতে বাংলাদেশের কোনো প্রাপ্তি নেই, বরং আশঙ্কা আছে। এ গেল একদিক। অন্যদিকে ভারতের একটি বড় চাওয়া বাংলাদেশের কাছে এই ছিল যে, বাংলাদেশ তাকে করিডোর বা ট্রানজিট দেবে, যার মাধ্যমে ভারতের মূল ভূখÐ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বাংলাদেশের তরফে সেটিও তাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। নৌট্রানজিট, সড়ক-ট্রানজিট, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার ইত্যাদি সবকিছুই দিয়ে দেয়া হয়েছে। কলকাতা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। নিয়মিত মালামাল পরিবহনও শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে মালামাল পরিবহন আগেই শুরু হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও কলকাতা থেকে আগরতলায় পণ্যের একটি চালান গেছে। কলকাতা থেকে ভারতীয় ভ‚খÐের ভেতর দিয়ে আগরতলা যেতে দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিতে হয়। সময় লাগে ১৯২ ঘণ্টা। পক্ষান্তরে কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আগরতলার দূরত্ব সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারের মতো। তাতে সময় লাগে ৫১ ঘণ্টা। এই দুই পথে পরিবহন খরচের পার্থক্য বলতে গেলে আকাশ-পাতাল। এখনো সড়ক-ট্রানজিটের মাশুল নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী বছরের শুরুতে মাশুল নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নৌট্রানজিট সুবিধা অনেকদিন ধরেই ভোগ করছে। নামমাত্র মাশুলে সে এই সুবিধা পেয়ে আসছে। সম্প্রতি নৌট্রানজিটের মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি হবে টনপ্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা। এর মধ্যে শুল্ক বিভাগের জন্য ১৩০ টাকা, প্রতি কিলোমিটার সড়ক পরিবহনে ১ টাকা ২ পয়সা এবং নৌবন্দর সুবিধার ১০ টাকা। অনেকেরই প্রশ্ন, এই ১৯২ টাকা ২২ পয়সা মাশুল কি যথেষ্ট ও যৌক্তিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাশুল না যথেষ্ট, না যৌক্তিক। বিআইডিএসের গবেষক মোহাম্মদ ইউনুস পত্রিকান্তরে জানিয়েছেন, প্রতি টন পণ্যের জন্য এই মাশুল খুবই কম। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তে ঢোকার পরই শুল্ক বিভাগকে পণ্যটি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করবে না, এমন নিরাপত্তার ‘সিল’ করতে হবে। এর জন্য বাড়তি অবকাঠামো ও লোকবল লাগবে। আবার বাংলাদেশের ভ‚খÐ পার হয়ে যাওয়ার সময় নিশ্চিত হতে হবে যে, এ পণ্য বাংলাদেশের কোথাও নামেনি। তাই আবারও বাড়তি অবকাঠামো ও লোকবল লাগবে। এ জন্য সরকারকে বাড়তি খরচ গুনতে হবে। আবার নৌপথ খননে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে। পণ্য ওঠানামার জন্য নৌবন্দরের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। 
বলাবাহুল্য, এ জন্য বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাবে না। চার দেশের যানচলাচলের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশ নিজের অবকাঠামো নিজেই তৈরি করবে। এক খবরে জানা গেছে, নৌট্রানজিট দিতে বাংলাদেশের অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। নদীর নাব্য রক্ষা, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, নাইট নেভিগেশন ও অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করতে হবে। নৌট্রানজিটের সুবিধা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি ভোগ করবে। প্রশ্ন উঠতে পারে, মূলত ভারতের সুবিধা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ এই বিপুল অর্থ ব্যয় করবে কেন? অর্থ পাবেই বা কোথায়? জানা গেছে, এ জন্য সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ চাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। একেই বুঝি বলে, গরজ বড় বালাই!
সড়ক ট্রানজিট হিসেবে পরিচিত চারদেশীয় যানচলাচল চুক্তির আওতায় মাশুল কত হবে তা নির্ধারিত না হলেও নৌট্রানজিটের মাশুলে তার একটি ভিত্তি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত এই ভিত্তি ধরে মাশুল নির্ধারিত হবে। ফলে সেই মাশুলও যে খুবই কম হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্মরণ করা যেতে পারে, ট্রানজিট নিয়ে ২০১১ সালে সরকার একটি কোর কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি একটি সমন্বিত ট্রানজিটের জন্য ১৫ ধরনের মাশুল আরোপের সুপারিশ করেছিল। কমিটির একটি সুপারিশে ছিল, কেবল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক বিভাগের মাশুলই হবে সর্বনি¤œ ৫৮০ টাকা। কোর কমিটি বলেছিল, ট্রানজিট দিতে বাংলাদেশকে অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। কোর কমিটির সুপারিশ কোনো গ্রাহ্যতা পায়নি। ৫৮০ টাকার মাশুল হয়েছে ১৩০ টাকা। ওই ৪৭ হাজার কোটি টাকা কীভাবে কোথা থেকে আসবে, তার কোনো খোঁজ নেই। প্রতিবেশী দেশের ইচ্ছা পূরণে ও স্বার্থে কোনো দেশের এভাবে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার নজির বিশ্বের ইতিহাসে বোধকরি খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু ‘সুসম্পর্কের কারণে’ কিংবা ‘রাজনৈতিক সমর্থনের বিনিময়ে’ বর্তমান সরকার একের পর এক যা করছে, তার খেসারত কিন্তু দেশের জনগণকেই দিতে হবে।
বলতে গেলে ভারতকে দেয়ার মতো বাংলাদেশের হাতে আর এখন অবশিষ্ট কিছু নেই। এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠতে পারে, এত কিছুর বদলে বাংলাদেশ কি পেয়েছে? এর একমাত্র উত্তর : কিছুই পায়নি। অভিন্ন নদীর পানি সমস্যা যেখানে ছিল সেখানেই আছে। তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় বাইরে চলে গেছে। সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধে ভারতীয় আশ্বাস কোনো ফল দেয়নি। বাণিজ্য- অসমতা দূর করার ক্ষেত্রে কোনো সুখবর নেই। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ চলছে। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের কাজও চলছে। বাংলাদেশের দাবি ও অনুরোধ কোনো ক্ষেত্রেই ভারত আমলে নেয়নি। গঙ্গা-ব্যারাজ নির্মাণের যে কথা অনেক দিন ধরে বলা হচ্ছে, তা হবে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ বহু প্রকল্প গ্রহণ করলেও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণে তেমন গরজ দেখাচ্ছে না। সরকার বরং এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা চায়। বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার, ভারতের পানি আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য যে বাঁধ নির্মাণের কথা, তাতে ভারতেরই সহযোগিতা চায় সরকার! সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, গঙ্গা ব্যারাজ নির্মিত হোক, ভারত তা চায় না। এতে ভারতের ক্ষতি হবে বলে মনে করছে ভারত। ভারতের অমত থাকার প্রেক্ষাপটে গঙ্গা ব্যারাজ হবে, এটা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ বা হেতু নেই। দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে, সরকার ‘ভারত তোষণে’ ব্যস্ত। আর বিরোধীদলগুলো জেরবার, আত্মরক্ষায় দিশাহারা। ভারতকে যে একতরফাভাবে সবকিছু দিয়ে দেয়া হচ্ছে, বিনিময়ে কানাকড়িও মিলছে না, এ ব্যাপারে তাদের কোনো সোচ্চার বক্তব্য ও ভ‚মিকা নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন