বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দেশের আবাহওয়া এখন উত্তপ্ত। এর ওপর এবারের শুষ্ক মওসুমে তিস্তার পানিপ্রবাহ প্রায় শূন্যের কোঠায়। এর আগে তিস্তায় এমন পানিশূন্যতা কখনো দেখা যায়নি। তিস্তাসহ বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর উৎসমুখ ভারতে। তিস্তার উৎপত্তি ভারতের সিকিম রাজ্যে। স্বভাবতই তিস্তার প্রবাহ নির্ভর করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারাজে ভাটিতে কত পরিমাণ পানি বাংলাদেশের জন্য ছেড়ে দিচ্ছে তার ওপর। ভারত নীতিগতভাবে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি, যদিও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু নতজানু সরকারের সব চেষ্টাই অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হচ্ছে। মেরুদণ্ড খাড়া করে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে দেশ-বিদেশে দৃঢ় কূটনীতি চালালে হয়তো ফল পাওয়া যেত। তিস্তার পানিবণ্টন ও আমাদের তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প (টিবিআইপি) নিয়ে প্রকৌশল, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করার প্রয়োজন।
তিস্তার জন্ম উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিম রাজ্যের তুষার হ্রদ ‘খাংচুং চ্যু’ থেকে। এই তুষার হ্রদটি হিমালয় পার্বত্য ভূমির পাউঙ্গুরি শৃঙ্গ থেকে নেমে আসা তিস্তা কাংসি হিমবাহের শীর্ষে পাঁচ হাজার ২৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সিকিমের চুংথ্যাং-এ তিস্তার প্রধান স্রোতধারা চোম্ব চুং নদী পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে আরো দু-একটি স্রোতধারার সাথে মিশে তিস্তা নাম নিয়েছে। এভাবে তিস্তা তার যাত্রাপথে পার্বত্য সিকিমের প্রায় ৯৫ শতাংশ অঞ্চল পাড়ি দিয়েছে। তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার হাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রাম দিয়ে। প্রবাহপথে তিস্তা সিকিম ১৫১ কিলোমিটার, সিকিম-পশ্চিমবঙ্গ সীমানা বরাবর ১৫২ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ১২১ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। মোট ৪১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের তিস্তামুখ ঘাটে ব্রহ্মপুত্রে (যমুনা) গিয়ে মিশেছে। তিস্তা নদী বৃহত্তর রংপুরের ৩৫টি উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত, যার মোট আয়তন প্রায় ১০০০ বর্গকিলোমিটার। এ অঞ্চলের এক কোটিরও অধিক প্রত্যক্ষভাবে এবং পরোক্ষভাবে দুই কোটিরও অধিক মানুষ তাদের জীবিকার জন্য তিস্তার ওপর নির্ভরশীল। অন্য কথায় বলতে গেলে, তিস্তার প্লাবন ভূমি বাংলাদেশের শস্য উৎপাদন ক্ষেত্রের প্রায় ১৪ শতাংশ এবং এক কোটিরও বেশি মানুষের খাবার জোগায়। তিস্তা উপকূলের মোট আয়তন ১২ হাজার ১৫৯ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে দুই হাজার ১০৪ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের। আর পশ্চিমবঙ্গের সমভূমিতে চার হাজার ৩০৮ বর্গকিলোমিটার। জলপাইগুড়ির দক্ষিণে করতোয়া, পুনর্ভবা ও আত্রাই এ তিন স্রোতধারায় প্রবাহিত তিস্তা। ঐতিহাসিকভাবে গঙ্গা নদীসমগ্রের অংশ। ‘ত্রিস্রোতা’ থেকে তিস্তা নামের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। ১৭৮৭ সালের মহাপ্লাবনে তিস্তা দক্ষিণ-পূর্বে গতিপথ পরিবর্তন করে ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়েছে।
প্রকৃতিবিরোধী, অপরিণামদর্শী উন্নয়নভাবনাই দেশে দেশে নদী মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিস্তার প্রবাহ পথে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের প্রতিবেশী ভারত একটুও পিছিয়ে নেই। তিস্তার পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাকে ভারত পুরোপুরি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে। তারা ৩০টি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। মোট ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের তিস্তার বেগবান প্রবাহ থেকে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের কোনো আপত্তির কারণ নেই। কিন্তু সেই তিস্তা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে পানি প্রত্যাহার করে গজলডোবার নিম্নাঞ্চলে প্রায় পানিশূন্য করাতেই আমাদের আপত্তি এবং সেই কাজটিই ভারত শুরু করেছে। গজলডোবাসহ আরো পাঁচটি স্থানে ড্যাম তৈরি করে তারা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, সিকিম প্রভৃতি অঞ্চলে পানি সেচের ব্যবস্থা করছে। এতে করে বাংলাদেশে আর পানি পাওয়া যাবে না।
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প পূর্ব-ভারতের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯টি জেলার ৯,২২,০০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নযোগ্য এই বিশাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌ-চলাচল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ। গজলডোবাসহ মহানন্দা ও ডাউকি ব্যারাজ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তিস্তার প্রাকৃতিক প্রবাহের ওপরে এসব মনুষ্য সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো ভারতের বিতর্কিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় হিমালয়ের উপত্যকাবাহিত নদী ও স্রোতধারার পানি ৩০টি আন্তঃউপকূল সংযোগ ক্যানালের মাধ্যমে মহানন্দা উপকূলে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য দক্ষিণ ভারতের খরাপ্রবণ অঞ্চলে পানি সরবরাহ করা। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আমাদের জনবসতি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। উজানে তারা তিস্তাসহ গঙ্গা নদীর পানি প্রত্যাহার করে ভাটির দেশ বাংলাদেশকে পানিশূন্য করবে। আন্তর্জাতিক আন্তঃনদীর পানি ব্যবহারের আন্তজার্তিক বিধিবিধান আছে। কিন্তু ভারত তার কোনো তোয়াক্কা করছে না।
আমাদের তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের। দেশপ্রেমিক, নির্ভীক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের সক্রিয় উদ্যোগে এটা নির্মাণে হাত দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজে হাত দেয়া হয় এবং নির্মাণকাজ শেষে ১৯৯০ সালের ৫ আগস্ট কমান্ড এলাকায় সীমিতভাবে পরীক্ষামূলক সেচকার্য শুরু হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে প্রকল্পে নিয়মিতভাবে সেচকার্য পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ১৯৯৮ সালে। বর্তমানে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ বাস্তবায়নাধীন। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হলে গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
মওসুমে তো বটেই, আমন মৌসুমেও বর্ষা ও বর্ষাত্তোরকালে খরা একটি সাংবার্ষিক ঘটনা। প্রকল্প এলাকায় সেচের পানির প্রাপ্যতা খুবই সীমিত। একমাত্র তিস্তা ছাড়া অন্যান্য ছোট নদী এবং খালের পানিপ্রবাহ খুবই কম এবং অনিশ্চিত। তাই তিস্তা নদীতে ব্যারাজ নির্মাণ করে এ অঞ্চলে গ্রাভিটি পদ্ধতিতে একটি সেচ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা ব্রিটিশ আমল (১৯৪৫) থেকেই অনুভূত হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও জনবল দিয়ে নতুন জরিপ ও বিস্তারিত পরিকল্পনা ও ডিজাইন প্রণয়ন করে মডেল স্টাডির ভিত্তিতে দোয়ারীতে তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণ করেন।
এই অঞ্চলে খরিপ-২ (আমন) মওসুমে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত হঠাৎ করে খরার আবির্ভাব হয়। ওই খরার কারণে আমন ধানের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। এই খরা মোকাবেলা করে খরিপ-২ মওসুমে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে বাম্পার ফসল উৎপাদন করাই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অর্থাৎ সম্পূরক সেচের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা তথা দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের লক্ষ্য। নিষ্কাশন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নদী শাসনের সুবিধা প্রকল্পের অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত সম্পূরক সেচ সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে এলাকার কৃষকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সারা বছরই নিয়মিত সেচ দেয়া হচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি ১৯৯৩ সাল থেকে সেচকার্যক্রম অব্যাহত আছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে সেচ সুবিধা দেয়া বেড়ে যায়। বিগত ২০১২-১৩ সালে খরিপ-১ মওসুমে ৪৬,৫৯১ হেক্টর, খরিপ-২ মওসুমে ৭৪,৪৫০ হেক্টর এবং রবি মওসুমে ১১,৩২৩ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হয়। খরিপ-১/খরিপ-২ মওসুমে ক্রমান্বয় পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা (৯১,২২৬ হেক্টর) অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালের সেচকার্য চলমান ছিল। তবে এবারের শুষ্ক মওসুমে উজানে পানি আটকে দেয়ার কারণে পানিপ্রবাহ শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, ফলে এক সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১,৫৪,০০০ হেক্টর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়েছে।
ব্যারাজ নির্মাণের আগে এই এলাকায় খরিপ-১ (রবিশস্য) মওসুমে কাউন ছাড়া অন্য কিছুর চাষাবাদ হতো না। ব্যারাজ নির্মাণের ফলে সেচ সুবিধার কারণে কৃষকেরা এখন সেই একই জমিতে এই মওসুমে উফশী ইরি ধান, গম, ভুট্টা, আলু চাষ করছেন এবং প্রত্যেক বছরে খরিপ-১ মওসুমে বাম্পার ফলন ফলাচ্ছেন। কৃষকেরা বছরে এখন তিনটি ফসল পাচ্ছেন। প্রকল্প এলাকায় উন্নত কৃষি উৎপাদনের সাথে সাথে আয় ও কর্মসংস্থান যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যানাল ডাইকের উভয় পাশে এবং অবকাঠামো এলাকায় জুন-২০১৩ পর্যন্ত প্রায় ৬,০০,০০০ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা প্রকল্প এলাকায় সবুজের সমারোহ ও উন্নত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রধান ও সেকেন্ডারি খাল, ৩.৮০ কিলোমিটার প্রধান নিষ্কাশন খাল এবং সিল্টট্রাপে প্রায় দুই লাখ হেক্টর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মাছ ও হাঁস পালনের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ৬৪৯ কিলোমিটার খালের উভয় পাড়ের ১,২৯৮ কিলোমিটার ক্যানাল ডাইক প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীণ রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেছে। নদী এবং সিল্টট্রাপের রিজার্ভার ও ক্যানালের এলাকায় সবুজ ক্ষেত এবং ক্যানালের ডাইকের বনায়ন পরিবেশের ওপর বিপুল প্রভাব ফেলেছে। বেড়েছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে গাছগাছালি জন্মে উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে শস্যভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে খরা মওসুমে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ ৩৫০ কিউসেকে নেমে গেছে। গত বছরও ওই সময় গড়ে ১৭৫০ কিউসেক পানি পাওয়া গেছে। নদীর প্রবাহ বজায় রাখার জন্য কমপক্ষে ৫০০ কিউসেক পানির প্রয়োজন। তাই সেচকাজের জন্য পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তিস্তা পানিচুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পেলেই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান সম্ভব। তিস্তাকে বাঁচাতে হলে উজানের পানি ছাড়া কোনো গতি নেই। এ জন্য গজলডোবা বাঁধের নিম্নাঞ্চলে শুষ্ক মওসুমে অন্তত ১০০০০ কিউসেক পানির প্রয়োজন হবে এবং সে পানি থেকে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত কোনো পানিই প্রত্যাহার করতে পারবে না।
তিস্তাকে বাঁচাতে উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত আমাদের দেশপ্রেমিক জনগণ। সর্বস্তরের পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ভুক্তভোগী মানুষ এর একটি সুস্পষ্ট সমাধান চায় ভারতের কাছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রধান দু’টি দলের মহাকোন্দলে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে পাত্তাই দিচ্ছে না তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে। বাংলাদেশীরা যদি সিসাঢালা একতা নিয়ে জনগণের দরদী দেশনেতা মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চের মতো কিছু দেখাতে পারলে তবেই ভারতের টনক নড়বে। উত্তরাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন তিস্তা নদীর পানির হিস্যার ওপর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন