বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

সমুদ্রসীমার রায়ের একটি ভৌগলিক বিশ্লেষণ


সম্ভবত রায়ের ৫৪ এবং ৫৭ নং পৃষ্ঠায় সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের এনভেলাপ অংশের মীমাংসার মানচিত্র দুটি আমাদের মিডিয়াগুলিকে সমুদ্রজয়ের শিরোনাম করতে অনুপ্রাণিত করে থাকবে। তবে প্রকৃত অর্থে এখানে সমুদ্র বিজয়ের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা প্রায় সমকৌণিক। আনক্লসের নীতিমালা মেনে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে গেলে একের সীমানা অন্যের সীমানায় পড়বেÑ এটাই স্বাভাবিক। ফলে এই বিষয়ে মীমাংসার রায়কে ‘সমুদ্র বিজয়’ বলে দাবি করা বাড়াবাড়ি। আর যদি জয়-পরাজয়ের কথাই আনতে হয় তাহলে রায়ের ৪৯৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পরিবর্তিত মীমাংসা রেখা অনুসারে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২ বর্গকিলোমিটার মিয়ানমার পাবে।

আনুপাতিকভাবে এটা প্রায় ১ : ১.৫৪ হারে মিয়ানমারের অনুকূলে। এলাকা বণ্টনের পরিমাণ ও অনুপাতে পরাজয়টা তাহলে কার হল?



এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান :

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে বিরাজমান ত্রিদেশীয় সমুদ্রসীমা বিরোধের বাংলাদেশ-মিয়ানমার অংশের সমুদ্রসীমা বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির রায় পাওয়া গেছে গত ১৪ মার্চ ২০১২। রায়ের কপি ইন্টারনেটে আসার আগেই মিডিয়া এটাকে ‘বাংলাদেশের সমুদ্র জয়’ শিরোনামে ফলাও করে প্রচার করায় সাধারণের মধ্যে এমন একটা ধারণা হয়েছে যে, ওই সমুদ্র আগে আমাদের ছিল না, মিয়ানমারের সঙ্গে মামলায় জিতে আমরা ওই সমুদ্র জয় করেছি। সমুদ্রসীমা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের (আইটিএলওএস) রায়ে কি আসলেই বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করেছে? বিষয়টা সম্পর্কে জানতে হলে এই সমুদ্রসীমা বিষয়ক রায়টি এবং এর পূর্বাপর কিছু ঘটনা অবশ্যই আমলে নিতে হবে।

পৃথিবীর ১০ ভাগের ৭ ভাগ হচ্ছে জল, তথা সমুদ্র। অগাধ সম্পদের অধিকারী সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ আহরনের জন্য আন্তঃদেশীয় সমুদ্রসীমা বিরোধ থাকলেও তা নিয়ে আইন করার প্রয়োজন খুব তীব্র ছিল না। বিগত শতকের শেষার্ধে বহুজাতিক পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলো সমুদ্রে পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান শুরু করলে মূলত আন্তর্জাতিক সমুদ্রে অর্থনৈতিক এলাকা নির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দেয়। ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ সমুদ্র কনভেনশন আইন (আনক্লস) প্রণীত হয়। ১৯৯৫ সালে ভারত এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করে, মিয়ানমার স্বাক্ষর করে ১৯৯৬ সালে এবং বাংলাদেশ ২০০১ সালে।

এই আইন অনুযায়ী একটি দেশ তার বেজলাইন হতে ১২ নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল = ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) রাষ্ট্রীয় সমুদ্রসীমা এবং আরো ১৮৮ নটিক্যাল মাইলসহ মোট ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। মহীসোপানের আরো ১৫০ নটিক্যাল মাইল যোগ করে (২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মহীসোপান) সম্প্রসারিত অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা সর্বোচ্চ ৩৫০ নটিক্যাল মাইলের বেশি হবে না। বাংলাদেশের মহীসোপান এলাকা অনেক দীর্ঘ হওয়ায় এই সুবিধাটি বাংলাদেশের পাওয়ার কথা। কনভেনশনের নিয়ম অনুসারে স্বাক্ষরের ১০ বছরের মধ্যে একটি দেশকে তার ঘোষিত সমুদ্রসীমার দাবি উত্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে আবেদন করে এই সময় আরো ৫ বছর বৃদ্ধি করার সুযোগও রয়েছে। ভারত এবং মিয়ানমার ২০০৮ সালে তাদের সমুদ্রসীমা আনক্লসে উপস্থাপন করে।


বাংলাদেশেরও উচিত ছিল প্রয়োজনীয় জরিপ শেষে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে তা আনক্লসে উপস্থাপন করা। তা না করে পেট্রোবাংলা ২০০৮ সালের ৫ ফেব্র“য়ারি সমুদ্র অঞ্চলকে ২৮টি ব্লকে (৮টি অগভীর ও ২০টি গভীর) ভাগ করে বাংলাদেশের অগভীর ও গভীর সমুদ্রে গ্যাস ব্লকের মানচিত্র প্রকাশ করে তৃতীয় দফা বিডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ১৫ ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে। ভারত এবং মিয়ানমার এই ঘোষিত ব্লকগুলো তাদের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় পড়েছে দাবি করলে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার আনক্লসের পরিশিষ্ট ৭ ধারা অনুসারে ভারত ও মিয়ানমার ঘোষিত সমুদ্রসীমার বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করে।

২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মিয়ানমার সরকার আইটিএলওএসে আবেদন করে। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর অবহিত করা হয়। ২০১০ সালে ১ জুলাই বাংলাদেশ তার দাবি আদালতে উপস্থাপন করে। রায়ের ৩১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দাবি এবং আনক্লসে উপস্থাপিত ভারতের দাবি (হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মুখ থেকে আন্দামান-নিকোবর পর্যন্ত সরল রেখা) ডব্লিউজিএস-১৯৮৪ ডেটাম অনুযায়ী মানচিত্রে উপস্থাপনের পর সেখানে পেট্রোবাংলা কর্তৃক ঘোষিত পেট্রোলিয়াম ব্লকগুলো জিও রেফারেন্স করলে দেখা যায় যে, আনক্লসের ধারা মেনে ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মহীসোপান বিবেচনায় এনে পরবর্তী ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পেট্রোবাংলা ব্লক নির্ধারণ করেছে, যা যুক্তিসঙ্গত।

[চিত্র-১: ইধু ড়ভ ইবহমধষ.লঢ়ম ]

ভারতের দাবির মধ্যে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের ৫টি (৯, ১৪, ১৯, ২৪, ২৫) ব্লক পুরোপুরি এবং ৫টি ব্লক (১০, ১৫, ২০, ২১, ২৬) আংশিকভাবে পড়েছে। এ ছাড়াও অগভীর সমুদ্র ব্লকের ৩টি (১, ৫, ৬) ব্লক আংশিকভাবে ভারতীয় দাবির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


আইটিএলওএসের রায়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ায় এর পরের মানচিত্রে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র স্কেলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দাবির সঙ্গে আদালতের রায়ের ঘোষণা অনুযায়ী হাতছাড়া হওয়া ব্লকগুলোর পরিমাণ দেখানো হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, মিয়ানমারের সমদূরত্বরেখা দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের অগভীর সমুদ্রের ১৮ নং ব্লকের অংশবিশেষসহ গভীর সমুদ্র ব্লকের ৭টি পূর্ণব্লক (১৮, ২১, ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ২৮) এবং ৭টি ব্লকের (১২, ১৩, ১৬, ১৭, ২০, ২৪, ২৫) অংশবিশেষ মিলে মোট ৩৪ হাজার ৯৩ দশমিক ৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ তার দাবি পেট্রোবাংলার মতো ভূ-প্রাকৃতিকভাবে না করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করেছে এবং এই দাবিরেখা অনুযায়ী ২০০৮ সালে নিজেদের ঘোষিত তিনটি পূর্ণব্লক (২৩, ২৭, ২৮) এবং ৫টি ব্লকের (১৩, ১৭, ১৮, ২২, ২৬) অংশবিশেষ মিলে মোট ১৪ হাজার ৭৪৪ দশমিক ১৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের দাবি হতে বাদ দিয়েছে!

[চিত্র-২: ইধু ড়ভ ইবহমধষ১.লঢ়ম]

আইটিএলওএসের রায়ের ৫০০ হতে ৫০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে মীমাংসা রেখা বর্ণনা করা হয়েছে সে অনুযায়ী বাংলাদেশ তার অগভীর সমুদ্রের ১৮ নং ব্লকের অংশবিশেষসহ গভীর সমুদ্র ব্লকের ৫টি পূর্ণব্লক (১৮,২২, ২৩, ২৭, ২৮) এবং ৬টি ব্লকের (১২, ১৩, ১৭, ২১, ২৫, ২৬) অংশবিশেষ মিলে মোট ২২ হাজার ৪৯ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা হারিয়েছে।

মিয়ানমার তার আবেদনে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনস দ্বীপকে তার দেশের নাফ নদীর পলিপাতন অংশ বিবেচনা করে একে সীমানা নির্ধারণের জন্য বিবেচনা না করে পৃথকভাবে দেখার জন্য দাবি করে (অনুচ্ছেদ ১৩১ ও ১৩২)। অথচ সেন্ট মার্টিনস একটি প্রবাল দ্বীপ, যার সঙ্গে নদী বা পলিপাতনের কোনও সম্পর্কই নেই। বাংলাদেশ এই বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরতে না পারায় মিয়ানমারের দাবি মেনে নিয়ে ট্রাইবুনাল কর্তৃপক্ষ সমদূরত্ব নীতির শুরুর বিন্দু নাফ নদীর মুখে নির্ধারণ করে। ফলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা এখন আগের চেয়ে উত্তরে সরে টেকনাফে চলে এসেছে। তবে সেন্ট মার্টিনসকে এনভেলাপ দেবার সময় মিয়ানমারের দাবি করা স্থানাংক অনুসরণ না করে ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের দাবি করা ৭ নং স্থানাংক পর্যন্ত গিয়ে এরপর মিয়ানমারের ‘ই’ স্থানাংককে মীমাংসা রেখার সঞ্চার বিন্দু নির্ধারণ করেছে। এর ফলে ১৮ নং ব্লকের ১০০ দশমিক ৮৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা হাতছাড়া হলেও সেন্ট মার্টিনসের জন্য অপেক্ষাকৃত বড় এনভেলাপ পাওয়া গেছে।

[চিত্র-২: ইধু ড়ভ ইবহমধষ২.লঢ়ম]

বাংলাদেশ তার আবেদনে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমাকে ১৭ ডিগ্রি ২৫ মিনিট ২৫ দশমিক ৭ সেকেণ্ড উত্তর, ৯০ ডিগ্রি ১৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড পূর্ব বিন্দু পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখার জন্য দাবি করেছিল। সেই দাবি বাতিল করে দিয়ে ট্রাইব্যুনাল ৫০৫ অনুচ্ছেদে বিভক্তি রেখাকে তৃতীয় দেশের (ভারত) অর্থনৈতিক অঞ্চল পর্যন্ত প্রলম্বিত করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে এখন অন্য দেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করতে হবে।

সম্ভবত রায়ের ৫৪ এবং ৫৭ নং পৃষ্ঠায় সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের এনভেলাপ অংশের মীমাংসার মানচিত্র দুটি আমাদের মিডিয়াগুলিকে সমুদ্রজয়ের শিরোনাম করতে অনুপ্রাণিত করে থাকবে। তবে প্রকৃত অর্থে এখানে সমুদ্র বিজয়ের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা প্রায় সমকৌণিক। আনক্লসের নীতিমালা মেনে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে গেলে একের সীমানা অন্যের সীমানায় পড়বেÑ এটাই স্বাভাবিক। ফলে এই বিষয়ে মীমাংসার রায়কে ‘সমুদ্র বিজয়’ বলে দাবি করা বাড়াবাড়ি। আর যদি জয়-পরাজয়ের কথাই আনতে হয় তাহলে রায়ের ৪৯৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পরিবর্তিত মীমাংসা রেখা অনুসারে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২ বর্গকিলোমিটার মিয়ানমার পাবে। আনুপাতিকভাবে এটা প্রায় ১ : ১.৫৪ হারে মিয়ানমারের অনুকূলে। এলাকা বণ্টনের পরিমাণ ও অনুপাতে পরাজয়টা তাহলে কার হল?

সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত এই রায়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করে আমাদের উচিত হবে ভারতের সঙ্গে ২০১৪ সালে ট্রাইব্যুনালের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং সেই মামলায় নিজেদের জরিপ ও ভূ-প্রাকৃতিক যুক্তিকে শক্তভাবে উপস্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া। ভারতের সঙ্গে মীমাংসারেখা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রকৃত অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা পাচ্ছি না। তাই এই বিষয়ে এখনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সমুদ্রজয়ের পাঠ অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

সমুদ্র আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এই সম্পদকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে না দিয়ে দেশি কোম্পানি বাপেক্সকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আইটিএলওএসের রায়ে বাংলাদেশের পলিপাতনকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবছর আমাদের দেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিলিয়ন টন পলিকে তাহলে কেন আমরা অন্যের সমুদ্রসীমায় চলে যেতে দেব? মেঘনা মোহনায় পলি সংগ্রহ করে সমুদ্র হতে আমরা ভূমি পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থা নিতে পারি। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস আমাদের জন্য উদাহরণ হতে পারে। উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডসের মোট আয়তনের এক-পঞ্চমাংশ (৭,০০০ বর্গকিলোমিটার) সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা। সমুদ্রে মৎস্য শিকারের জন্য সুষ্ঠু নীতামালা এবং মৎস্য শিকারের সঙ্গে জড়িতদের জন্য উন্নত সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে এই খাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। সমুদ্রসীমা নিয়ে রাজনীতি না করে এসব বিষয়ে মনযোগী হওয়াটাই দেশ ও দেশের জনগণের জন্য উত্তম।

তথ্যসূত্র :

১। আইটিএলওএসের রায়
২। পেট্রোবাংলা প্রণীত বাংলাদেশের পেট্রোলিয়াম ব্লকসমূহের মানচিত্র
৩। জাতিসংঘ সমুদ্র কনভেনশন আইন
লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশের শিক্ষক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন