মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বড় অসময়


বর্তমান মহাজোট সরকারের আমল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুব একটা স্বস্তিকর নয়। যার সঙ্গেই মতের অমিল তাকেই অপমান অপদস্ত করতে বর্তমান সরকার সদা ব্যস্ত। ধীরে ধীরে সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের মূল অধ্যায় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। যখন যেমন তখন তেমন যারাই সরকারে আসে তারাই তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে তালিকা করছে, মুক্তিযোদ্ধা সাজাচ্ছে। হঠাত্ করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হলো। স্বাধীনতা এসেছে সেই কবে, সরকারি চাকরিজীবী যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তারা কতজন এরই মধ্যে অবসরে গেছে। তারা কিন্তু এই বয়সসীমা বৃদ্ধির সুযোগ পায়নি। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে একদিন হঠাত্ করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি দুই বছর বয়সসীমা বৃদ্ধি করে দিল। কতজন যে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল তার হিসাব-নিকাশ নেই। সঠিক বেঠিক মিলে হাজার পাঁচ-ছয় সরকারি কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সসীমা বৃদ্ধির ওই সুযোগ গ্রহণ করেছিল। আবার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হলো। মানে ঘাড়ের নামই গর্দান, যে লাউ সেই কদু। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হয় তাহলে সব কর্মচারীর যখন বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলো তখন আপনাআপনি মুক্তিযোদ্ধাদের আরও দুই বছর বয়সসীমা বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু নানা কারসাজিতে তা আর হয়নি। ইদানীং শুনছি তা নাকি হবে। তা হোক। আবার একটা নতুন করে মুক্তিযুদ্ধ করে নতুন তালিকা করলেই দোষ কী! কারণ সর্বত্রই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেরাদুনে ট্রেনিংপ্রাপ্ত একটি বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। যার নাম দেয়া হয়েছিল মুজিব বাহিনী। যার অধিকাংশ নেতৃত্বে ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। বঙ্গবন্ধুসহ সেই রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের অবদান মুছে ফেলার জন্য মুজিবকন্যা ক্ষমতায় থাকলেও কৌশলে সেই মুজিব বাহিনীকে বিএলএফ বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে আগামী প্রজন্ম কোনোমতেই আর বলতে না পারে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী বলে কোনো যোদ্ধা দল ছিল। একটি গোলন্দাজ বাহিনীর নামও দেয়া হয়েছিল মুজিব বেটারি। সেটাও মুছে ফেলা হয়েছে। তার মানে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের কোনো অস্তিত্বই যাতে না থাকে এ যেন তারই প্রয়াস। খায়-খাতির, আত্মীয়তা ও দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে রাজাকারও হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। আর মতান্তর ঘটলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরও বলা হয় রাজাকার। এ যেন ডালে-চালে খিচুড়ি। কতদিন ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে, পাকিস্তানের পক্ষে কত হাজার হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আলশামস সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেছে তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের কোনো মাথাব্যথা নেই। চার-পাঁচজনকে টানা-হেঁচড়া করে প্রায় সাড়ে তিন বছর পার করে দিতে চলেছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই। এখন বয়স বেশি হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আজম আর নিজামী ছাড়া বাকিরা ছিল একেবারে নিম্ন পর্যায়ের দালাল। তাই চার-পাঁচ মাস আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের ডিসি হিসেবে বর্তমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মিঠাপুকুরের মাননীয় সংসদ সদস্য আশিকুর রহমানের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার চেয়েছিলাম। তাকে না গ্রেফতার করা হলো, না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো। এখন আওয়ামী লীগ করে বলে, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে, আওয়ামী লীগের অনেক টাকা-পয়সা তার কাছে আছে বলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পদলেহন করে ডিসির চাকরি করে রাজাকার, আলবদর গঠন, শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসক হিসেবে নানাভাবে নির্যাতন, এসব করেও পার পেয়ে যাবেন আর মতের অমিল হলে তাদের অপমান অপদস্ত করার চেষ্টা করা যাবে বা করা হবে এটা কোনো কাজের কথা নয়। বিচার বিচারই। পাকিস্তানের পক্ষে যারা কাজ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। রাজাকার আলবদর হলে বিচার হবে, রাজাকার আলবদরের চাইতে যারা বড় ছিল, যারা অনেক বেশি জঘন্য কাজ করেছে তাদের বিচার হবে না, এ কেমন কথা? আমি অভিযোগ এনেছি, জনাব আশিকুর রহমান ১৯৭১-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হওয়ার দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের পদলেহন করেছে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস দালাল তৈরি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে যারা ডাক্তারি করেছে তাদের যুদ্ধাপরাধী বলছি না। যারা মাস্টারি করেছে, যারা সরকারি অফিসে কেরানির চাকরি করেছে তাদের পাকিস্তানের দালাল যুদ্ধাপরাধী না বলে ছেড়ে দিলে খুব একটা আপত্তি নেই। রাজাকারের বিচার করব, যে এসপি ছিল, থানাগুলোর যারা দারোগা ছিল, যারা পুলিশ ছিল তাদের বাহবা দিব, সেটা কেমন করে হয়। আশিকুর রহমান ছিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার। প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তার হাতে। লোকজনকে গ্রেফতার করা, ধরে আনা, মারধর করা এসবের মূল ছিল সে। বর্তমান সরকারের জেলা প্রশাসন পরিচালনা করে কে? ডিসি-এসপিরা, দারোগা-পুলিশরা, নাকি ফেউয়েরা? পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনের শেষকালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রশাসন পরিচালনা করেছে ডিসি, এসপি, এসডিও, এসডিপিও, দারোগা, পুলিশরা। তারা পাকিস্তানের পক্ষে থাকলে দোষের নয়, গ্রামের একেবারে দিনমজুর রাজাকার হয়ে দেড়শ’ টাকা মাসে বেতন নিয়েই সব দোষে দোষী, এমন তো হতে পারে না। একটা রাজাকারের যা করার ক্ষমতা ছিল তার চাইতে লক্ষগুণ বেশি পুরো জেলার জেলা প্রশাসকের করার ছিল। সেটা যদি গুণের হয় তাহলে সে বহু বহুগুণ বেশি গুণী। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সপক্ষে কাজ করা যদি দোষের হয়ে থাকে, তাহলে তারা অনেক বেশি দোষী। তাই ওইসব লোকের বিচার দাবি করেছি। দোষীরা কখনও দোষীদের বিচার করতে পারে না। দোষীরা সবসময় প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই চায়। হয়তো এক্ষেত্রে তেমন হবে। কিন্তু আমার কাজ আমি করি, চোখে আঙুল দিয়ে দেশবাসীকে ঘটনাগুলো দেখিয়ে দেই। বিচার হলে হবে, না হলে না হবে।
কয়েকমাস আগে আশিকুর রহমান সম্পর্কে লিখেছিলাম, সে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদারদের লোক হিসেবে টাঙ্গাইলের ডিসি ছিল। টাঙ্গাইল মুক্ত হলে কাদেরিয়া বাহিনীর হাতে বন্দি হয়। আজকাল আর তেমন সত্য-মিথ্যার বালাই নেই। অধিকাংশই অনেককিছু কাকের মতো মুখ মুছে না করে। ভদ্রলোক বাপের বেটার মতো স্বীকার করেছে, সে আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হওয়ার দিন পর্যন্ত টাঙ্গাইলে পাকিস্তানিদের দালালি করেছে বা পাকিস্তানিদের অনুগত থেকে বাদশাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। সিঁদখোঁড়া চোরই কোনোদিন নিজেকে অপরাধী বলে মনে করে না। চোররাও চুরি করা ন্যায় কাজ বলে মনে করে। চুরি করা অন্যায় এটা চোরের কাছে মনে হলে চোরও ভালোভাবে চুরি করতে পারবে না। আমরা ঝাড়ে ঝাড়ে জঙ্গলে থেকে খেয়ে না খেয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি আর ভদ্রলোক পাকিস্তানিদের পদলেহন করে নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অনেককিছু করেছে। এখন কী আর করি! দেশে পড়ছে কলিকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল। তাই ভদ্রলোক একেবারে টাকা-পয়সা খরচ করে গত ২১ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের ডিসি ছিল সেটা অকপটে স্বীকার করেছে। বিজ্ঞাপনের শেষে তার নামে ব্যবহার করেছে এইচ এন আশিকুর রহমান, সংসদ সদস্য ও সভাপতি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বাহাদুরী আর বলে কাকে। ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম—পচা কাঞ্জির মধু নাম। আমি ভদ্রলোকের পুরো লেখাটিই পাঠকদের সামনে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরতে চাই। এতে আর কিছু না হোক, মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াবহ দিনগুলোতে যারা জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছে আর যারা পাকিস্তান প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আরাম আয়েশে দিন কাটিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিজয়ের পরপরই দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী সেজেছে, তারা যে কখনও এক নয় এই চিত্রটি জনগণের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যারা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের সেবাদাস ছিল তারাই আবার বাংলাদেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী করে বাংলাদেশ প্রশাসনে জায়গা পেল এটা অবশ্যই বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। স্বাধীনতার পর যাদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে অনেককে কোলাবরেটর হিসেবে বিচার করার প্রয়োজন ছিল তাদের অবাধে ছেড়ে দেয়ায় আজকে পাকিস্তানি দালালদের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত হতে হয়। এর সমাপ্তি হওয়া দরকার। জনাব আশিকুর রহমান আমার বিবেচ্য নয়। ভদ্রলোকের কর্মকাণ্ড, তার মন-মানসিকতা, তার চিন্তা-চেতনা আমার বিবেচ্য। তাই তার বিজ্ঞাপন দেয়া লেখার প্রতিটি শব্দ এখানে তুলে ধরে তার অসার বক্তব্যে সে নিজেই যে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নিজেকে স্বীকার করে নিয়েছে সেটাই শুধু প্রমাণ করতে চাই। তার লেখা থেকে সূচনা করা যাক—
‘কিছুদিন থেকে কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম আমার সম্বন্ধে বিষোদগার করে বেড়াচ্ছেন। এটা আমার কানে এসেছে। এবার দেখলাম ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ ইংরেজি মঙ্গলবারের ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য। তিনি আমার সম্বন্ধে বলেছেন, “ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজাকার সাঈদীর বিচার জাতীয়ভাবে হতে পারে না। আগে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান এমপিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করুন। আশিকুর রহমান যতগুলো রাজাকার তৈরি করেছিল তা আর কেউ করেনি।” মনে হলো আর চুপ করে থাকা যায় না। সত্য এবং সম্পূর্ণ সত্য উদঘাটনের সময় এসেছে। জাতির সত্য জানার অধিকার আছে।
‘১৯৭১ সালের মাঝামাঝি আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে টাঙ্গাইলে বদলি হই আমি। সেই সময় সিভিল সার্ভিসের অফিসার হিসেবে করাচিতে সিন্ধু সরকারের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলাম। টাঙ্গাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে এবং পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার সর্বোত চেষ্টা ছিল সরকারি কাজের আবরণে দুর্বিষহ জীবনে পতিত অথচ স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর মানুষদের জন্য কিছুটা নিরাপদ বলয় সৃষ্টি করা। তাদের সাহায্য সহায়তায় সচেষ্ট থাকা। তখন আমার এক ভাই মুক্তিযুদ্ধে এবং অন্য ভাই-বোন ও মা-বাবা বাড়িছাড়া। দীর্ঘ ৯ মাস তারা বিভিন্ন গ্রামে ও দূর শহরে নিজ বাসস্থানের বাইরে অবস্থান করেছেন। ওই সময় ছিল আমার জন্য কঠিন পরীক্ষা।’
ভদ্রলোক নিজেই বলেছে সিন্ধু সরকারের উপসচিব পদ থেকে বদলি হয়ে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছে। পাকিস্তানের অনুগত হয়ে স্বাধীনতায় বিভোর বাঙালিদের জন্য কাজ করেছে এটা দিবাস্বপ্নের চেয়েও বেমানান। তার ভাই-বোন, মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন কষ্ট করেছে, এ নিয়ে তো আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমার আলোচনা তাকে নিয়ে, সে কী করেছে? পাকিস্তানের চাকরি করে পাকিস্তানিদের মন জুগিয়ে সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে! এমন আস্পর্ধার বিচার না হওয়ায় স্বাধীনতার ৪০ বছর পর অনেকেই এমন করতে পারে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি এই ভদ্রলোকের অশুভ কর্মকাণ্ড অবলোকন করেছি, তাই তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রথমে গ্রেফতার করা হোক, সাক্ষী-সাবুদের জন্য হাজার হাজার মানুষ পাওয়া যাবে। অন্তত পাকিস্তানিদের পক্ষে তথাকথিত একটা বাঙালি অফিসারের বিচার
হোক। টাঙ্গাইলের করটিয়া, মির্জাপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী ও মধুপুরে ব্যাপক রাজাকার তৈরি হয়েছিল এবং এর মূল সমন্বয়কারী ছিল আশিকুর রহমান। শুধু মৌখিক নয়, অনেক দালিলিক কাগজপত্র কাদেরিয়া বাহিনীর কাছে ছিল, এখনও আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন