রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১১

বৈপ্লবিক শান্তিবাদ


নোয়াম চমস্কি ২০১১ সালে সিডনি শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। সিডনি টাউন হলে নভেম্বর তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে তিনিরেভ্যুলিউশনারি প্যাসিফিজম : চয়েসেজ অ্যান্ড প্রসপেক্টশিরোনামের ভাষণে চলমান শান্তিবাদের স্বরূপ অন্বেষণ করেন তিনি যা শক্তিমান দেশগুলোর এই সময়ের যুদ্ধবাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। আউটলুক অনলাইন থেকে নোয়াম চমস্কির এই ভাষণের ভাষান্তর করেছেন নেয়ামুল হক
আমরা সবাই জানিমানবজাতির পরবর্তী প্রজন্মসমূহকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করার আকাঙ্ক্ষাইজাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণ। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণতা দানের লক্ষ্যে পরিচালিত আমাদের এতদিনকার কর্মকান্ডগুলো যখন বিবেচনায় নেই, তখন উচ্চারিত এই শব্দমালা মনের গভীরে এক ধরনের বেদনাবোধেরই জন্ম দেয়। যদিও ইউরোপ এক্ষেত্রে তাপর্যপূর্ণ কিছু সাফল্যের মুখ দেখেছে
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইউরোপ ছিল এই পৃথিবীর সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল। চলেছে হত্যাযজ্ঞ আর ধ্বংসাত্মক অন্তঃকোন্দল। যুদ্ধবাজ ইউরোপ বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাই দখল করে নিয়েছিল। ইউরোপীয় এই আগ্রাসনের মুখে ভীতবিহবল মানুষের সবাই যে খুব একটা শান্তিবাদী ছিল তাও নয়। তবে তারা সবাই ব্রিটিশ সমর ইতিহাসবিদ জিওফ্রে পার্কারের ভাষায়ইউরোপীয় যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকারে পরিণত হয়েছিল।এই ঘটনা ইউরোপকে বিজিত দেশগুলোর ওপর এডাম স্মিথ যাকে বলেছেন, ‘বর্বর ইউরোপীয় অন্যায়চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। তিনি একথাও উল্লেখ করতে ভুলে যাননি যে, ইউরোপীয় সেই বর্বর অন্যায় চাপিয়ে দেওয়ার অভিযানে নেতৃত্বটা দিয়েছিল সেদিন ব্রিটিশরাই। ব্রিটিশদের এই বিশ্ব বিজয় কোথাও কোথাও ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে এনেছিল। এসব অঞ্চলকে কখনো কখনো ইংরেজ বংশোদ্ভূতদের রাজ্য হিসেবেই অভিহিত করা হতো। ইংল্যান্ডের বাইরে এসব অঞ্চলে ইংরেজ বংশোদ্ভূতরাই অভিবাসী হিসেবে বসবাস করতে শুরু করে। এগুলো ছিল ইংরেজদের উপনিবেশ। বহিরাগত ব্রিটিশদের দাপটে এসব উপনিবেশের আদি সমাজগুলো বিনষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় অধিবাসীরা নিজ ভূমি ছেড়ে অন্যত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিংবা কারো কারো অস্তিত্বই আবার ধ্বংসের মুখে পড়ে। তবে ১৯৪৫ সালের পর থেকে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ইউরোপ বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ মানবীয় অঞ্চলে পরিণত হয়। এটি তার পরিশ্রমী প্রচেষ্টারই ফসল। তবে গুরুত্বপূর্ণ সেই কাহিনী বলার জায়গা এটি নয়
তাত্ত্বিক আলোচনায় ইউরোপীয় এই নাটকীয় মোড় ফেরাকে প্রায়শইগণতান্ত্রিক শান্তিরফসল হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ কখনো একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় না। উল্লেখ না করে পারছি না, অবশেষে ইউরোপীয়রা এই সত্যটি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে, তারা যদি তাদের অতি পছন্দের ক্রীড়া- পারস্পরিক হত্যাযজ্ঞে আবারো মেতে ওঠে তবে কিন্তু কেল্লা ফতে। সভ্য মানুষ ইতোমধ্যেই ধ্বংসযজ্ঞ সাধনের বহুতর উপকরণ তৈরি করে রেখেছে। এগুলো কেবল ব্যবহৃত হতে পারে কোনো রকম প্রত্যাঘাত হানার মতো কোনো শক্তিই যাদের নেই তেমন সব অতি দুর্বল মানুষেরই বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর বছরগুলোতে এমন একটি অবস্থাই বিরাজ করতে দেখা গেছে। তবে এটাও ভাববার কোনো কারণ নেই যে, ভয়ের ব্যাপারটি একেবারেই উঠে গেছে। মার্কিন-সোভিয়েত বিরোধ তো দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের একেবারে দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল। সূক্ষ্মভাবে বিচার করে দেখলে সেই ভীতি তো এখনো আমাদের তাড়া করে। তাছাড়া সত্যি বলতে কী, পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা কিন্তু এখনো এক অশুভ সম্ভাবনা হিসেবে বিরাজ করছে। যা নিয়ে একটু পরেই আমি কথা বলব
আমরা কি যুদ্ধের ভয়াবহতাকে অন্তত কিছুটা আকারে হলেও সীমিত রাখার চেষ্টা করতে পারি? পুরোপুরি শান্তিবাদীদের কাছ থেকে এর এক ধরনের উত্তর পাওয়া যাবে। ওই শান্তিবাদীদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছেন যাদের আমি শ্রদ্ধা করি, যদিও তাদের মতো অতটা আশাবাদী আমি নিজেই হতে পারি না। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন শান্তিবাদী চিন্তাবিদ সমাজকর্মী জে মাস্তে। আমার ধারণা বিশ শতকের এই স্বনামধন্য মার্কিন ব্যক্তিত্ব নিজের মত প্রচারের ব্যাপারে খুবই সক্রিয়। মাস্তে তার ভাষায়বৈপ্লবিক শান্তিবাদেবিশ্বাসী। আর ন্যায়বিহীন শান্তি অন্বেষণকে তিনি অপছন্দ করেন। তিনি বলে থাকেনএকজন মানুষকে শান্তিবাদী হওয়ার আগে অবশ্যই বিপ্লবী হতে হবে।এসব কথা দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যে কোনো ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা যেনখুব সহজভাবেই নীরব থাকাটা পরিহার করি এবং সততার সঙ্গে আমাদের ৯০ শতাংশ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তরিক হই।তার মতেআমাদের প্রচলিত ব্যবস্থাটি এখন হিংসা আর বিদ্বেষের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বস্ত্তগত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অন্যায়গুলো সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষের জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের এই ৯০ শতাংশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই তবে তা হবে হাস্যকর এক ব্যাপার এবং এমনকি ভন্ডামিও। কারণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যেসব বিপ্লবী বাদবাকি ১০ শতাংশ হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাচ্ছে আমরা কিন্তু সেগুলোর ব্যাপারে খুবই সমালোচনামুখর। যেসব ঘটনার ভয়ঙ্করতার মাত্রা কম-বেশি যাই থাক না কেন তিনি একজন শান্তিবাদীর জন্য সে সময়কার সবচেয়ে কঠিন একটি প্রশ্নের মোকাবিলা করছিলেন। প্রশ্নটি ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী একটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা যায় কি যায় না। ৪৫ বছর আগে মাস্তের অবস্থান নিয়ে লিখতে গিয়ে আমি তারই একটি সাবধান বাণী উদ্ধৃত করে বলেছিলাম, একটি যুদ্ধের পরে বিজয়ীকে নিয়েই সবচেয়ে বড় সমস্যাটি দেখা দেয়। বিজয়ী মনে করেন, যুদ্ধ এবং সংঘাত থেকে যে কিছু অর্জিত হয় তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। কে তাকে ভিন্ন কোনো ছবক দেবে? তার পর্যবেক্ষণ সে সময়কার বাস্তবতায় যথার্থই ছিল। ইন্দোচীনের যুদ্ধ তখন ভয়ঙ্কর পর্যায়ে। পরবর্তী সময়েও জাতীয় আরো অনেক ঘটনাই ঘটেছে
ফ্যাসিবাদীদের নির্মম নিষ্ঠুরতাকে বিবেচনায় নিয়ে সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে যে, যুদ্ধে মিত্র শক্তির অবস্থান ভালো ছিল না। পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালানোর আগে পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের কর্মকান্ডকে অনেকটা সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়েই দেখা হয়েছে। বিশেষ করেইতালীয় সেই ভদ্রলোকমুসোলিনির তো প্রশংসাই করা হতো। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর হিটলারকেও একজন মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচনা করে বলেছিল, চরম ডান এবং বামদের থেকে তার অবস্থান একেবারেই আলাদা
ব্রিটিশরা বিশেষ করে ব্রিটেনের বণিক গোষ্ঠীও এদের প্রতি অনেক বেশি সহানুভূতিশীল ছিল। রুজভেল্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সামার ওয়েলস প্রেসিডেন্টকে জানান, চেকোস্লোভাকিয়াকে ভাগাভাগি করে ফেলা মিউনিখ চুক্তি বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর সামনে নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে, যে ব্যবস্থাটি ন্যায় এবং আইনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে। আর নতুন এই বিশ্বব্যবস্থায় মধ্যপন্থী নাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ১৯৪১ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রভাবশালী কূটনীতিক বার্লিনে নিযুক্ত কনস্যুলার জর্জ কেনান লিখেছিলেন, জার্মান নেতারা এটা কোনোভাবেই চান না যে, অন্য কোনো দেশের মানুষ জার্মান শাসনাধীনে নির্যাতন ভোগ করুক। তাদের শাসনাধীনে নতুন মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে, এটিই এখন তাদের ভাবনার বিষয়। আর জাতীয় একটি নিরুপদ্রব পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে বড় ধরনের ছাড় দিতেও তারা প্রস্ত্তত
হলোকস্টের কথা ততদিনে সর্বত্র জানাজানি হয়ে গেলেও তখনো পর্যন্ত এই অপরাধকে পুরোপুরিভাবে ন্যুরেমবার্গ বিচারের আওতায় আনা হয়নি। ন্যুরেমবার্গ আদালতে এই ঘটনার আগ্রাসী চরিত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ এই অপরাধ অন্য যে কোনো যুদ্ধাপরাধের চেয়ে আলাদা। এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে সব ধরনের অপরাধ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ইন্দোচিন, ইরাক এবং আরো অন্যান্য স্থানে সংঘটিত অপরাধের ঘটনাগুলো নিয়েও আমাদের চিন্তাভাবনা করার অবকাশ রয়েছে। যুদ্ধোত্তরকালে সম্পাদিত চুক্তিগুলো জাপানি ফ্যাসিবাদীদের ভয়াবহ নৃশংসতার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ৮০ বছর আগে মুকদেন ঘটনা দিয়ে জাপানি আগ্রাসনের শুরু। কিন্তু পাশ্চাত্যের আগ্রাসন শুরু আরো ১০ বছর পর। সময় দুটি মার্কিন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এশিয়ায় জাপান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধসমূহ আমলে না নেওয়ার কারণে ভারতসহ বেশ কয়েকটি এশীয় দেশ ১৯৫১ সালে সানফ্রান্সিসকো শান্তি চুক্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। বিরত থাকার আরো একটি কারণ ছিল ওয়াশিংটন কর্তৃক ওকিনিওয়াতে বড় ধরনের একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের ঘটনা। স্থানীয় অধিবাসীদের প্রচন্ড প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সেই ঘাঁটিটি এখনো সেখানে বহাল রয়েছে
পার্ল হারবারে আক্রমণ ঘটনার আলোকে কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া সমীচীন মনে করছি। এর একটি হলো ২০০৩ সালের মার্চে বাগদাদের ওপর বোমাবর্ষণ ঘটনায় ঐতিহাসিক এবং কেনেডির উপদেষ্টা আর্থার শ্লেসিঞ্জারের প্রতিক্রিয়া। পার্ল হারবারে জাপানের বোমাবর্ষণের ঘটনায় রুজভেল্ট যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন সেটিকেই উদ্ধৃত করে শ্লেসিঞ্জার বলেন, এটি এমন একটি দিন যা মানব জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত এক তারিখ হিসেবে টিকে থাকবে। আর আমাদের সরকারও সাম্রাজ্যবাদী জাপানেরই নীতি অনুসরণ করায় শ্লেসিঞ্জার লিখছেন, আজকের দিনে আমরা আমেরিকানরাও কলংকের মধ্যেই বেঁচে আছি। শ্লেসিঞ্জারের এই উপলব্ধি মূল ধারার কারো মধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না এবং জাতীয় চিন্তা-ভাবনাকে প্রসারিতও হতে দেওয়া হয় না। কয়েক বছর আগে শ্লেসিঞ্জার যখন মারা যান তখনো কাউকে তার প্রশংসা করতে গিয়ে নৈতিক গুণটির কথা উল্লেখ করতে দেখলাম না। শ্লেসিঞ্জারের এই বেদনাবোধটি নিয়ে আর কয়েক কদম হাঁটলে আমরা আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরো অনেক কিছুই জানতে পারব। আজকের বাস্তবতার নিরিখে বিচার করলে বলতে হয় জাপানের সেদিনের সেই আক্রমণটি যৌক্তিকই ছিল। এমনকি বলা চলে, দূরদর্শিতাপূর্ণই ছিল। কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ, হাওয়াই এবং ফিলিপাইনের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে জাপান যে বোমা হামলা চালিয়েছিল, সেটি ছিল তার বহুল প্রচারিতআক্রমণই আত্মরক্ষার প্রধান কৌশলনীতির ফল। তবে ২০০৩ সালে বুশ এবং ব্লেয়ার জাপানের সাম্রাজ্যবাদী নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে যেসব অজুহাত খাড়া করেছিলেন জাপানের আক্রমণাত্মক হওয়ার সেদিনকার সেই কারণটি ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি যৌক্তিক। জাপানি নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, বি-১১ এফএফ যুদ্ধবিমান বোয়িং বিমান সংস্থারই তৈরি করা বিমান। মার্কিন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে তারা এও জানতে পেরেছিলেন, এসব যুদ্ধবিমান টোকিও নগরীর খবরের কাগজ আর কাঠ দিয়ে তৈরি ঘরবাড়িগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। (চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন