রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১১

টিপাইমুখ বাঁধ প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা : ভারত নয়, প্রতিবাদী জনতাই টার্গেট


মঈনুল হক আন্তর্জাতিক নদী বরাকের ওপরে টিপাইমুখ বাঁধ বাস্তবায়নে ভারত একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হতে থাকলেও বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত নিয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু করবে না বলে ভারত আশ্বাস দিলেও প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পের রূপরেখা সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত তারা এখনো দেয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বাঁধের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে যেমন কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি, তেমনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য জানতেও চাওয়া হয়নি। এর মধ্যদিয়ে টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে কোনো তথ্য উপস্থাপনে অস্বচ্ছতা জনগণকে উপেক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে। এভাবেই ভারত সরকার বাধাহীনভাবে টিপাইমুখ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আর বিপরীতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী এই বাঁধ নিয়ে সরকার অনেকটা মাঠ গরম করা বক্তব্য দিয়েই দায়িত্ব সারছে। অন্যদিকে একতরফাভাবে টিপাইমুখ প্রকল্প অগ্রসরের ভারতীয় উদ্যোগের বিরুদ্ধে সরকার কোনো প্রতিবাদ না জানালেও যারা প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন তাদের সমালোচনা করছে কড়া ভাষায়। আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিবাদ এবং প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়া ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁধের বিপক্ষে সোচ্চার সরবদের ব্যাপারে সমালোচনামুখর রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এবং দেশব্যাপী মানুষের প্রতিবাদ গায়ে না মেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, টিপাইমুখ নিয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে সরকারের বিরোধিতা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার টিপাইমুখ নিয়ে ভারতের আশ্বাসের প্রতি আস্থাশীল বলে জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহেই এক সংবাদ সম্মেলনে
২০০৯ সালের প্রথমদিকে টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি জানাজানি হয়। সে সময় এর প্রতিবাদে ভারতের মনিপুরসহ বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। দেশব্যাপী টিপাইমুখ ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। সে সময়ও সরকার এই বাঁধের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বরং এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর উদ্যোগের কথা বলা হয়। ২০০৯ সালের ২৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বিএনপি এখন ইস্যু তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারব।এরপর ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই টিপাইমুখ প্রকল্প পরিদর্শনে যান সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক। প্রথমেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধিদের সামনে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক, বিভিন্ন জরিপের ফলাফল এবং সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তবে বাংলাদেশী প্রতিনিধিদের কাছে কোনো লিখিত তথ্য-উপাত্ত তখন দেওয়া হয়নি। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ কী কী তথ্য পেতে চায়, তা লিখিতভাবে ভারত সরকারকে জানাতে হবে। জানালে সবধরনের তথ্য সরবরাহ করা হবে। কিন্তু সেই থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের কোনো তথ্য চেয়েছে বলে জানা যায়নি
২০০৯ সালের ওই সফরে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে বৈঠক করেন। সময় এস এম কৃষ্ণা প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিবেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না। এই বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল হেলিকপ্টারে করে বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তারা বাঁধ এলাকায় নামতে পারেননি বলে জানানো হয়। ফলে সরেজমিন বাঁধ পরিদর্শন না করেই দেশে ফিরে আসেন সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সফরশেষে সংবাদ সম্মেলনে সংসদীয় দল জানায়, হেলিকপ্টারে খুব নিচু দিয়ে পরিভ্রমণকালে টিপাইমুখে কোনো অবকাঠামো তাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। সেই সঙ্গে প্রকল্পের ভাটিতে কোনো ব্যারেজ বা অবকাঠামো নির্মাণের কোনো রকম আলামতও দেখা যায়নি। তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এখনো কোনো প্রাথমিক ভৌতকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়নি। সফরশেষে আবদুর রাজ্জাক বলেন, তারা এই মর্মে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ভারত বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছুই করবে না। একই সময়ে প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং তিনি মনে করেন যে তার জীবদ্দশায় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে না
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের শেষদিনে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয় তার ৩০ নম্বর দফায় বলা হয়, টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ ভারত নেবে না। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে আবারো বলা হয়, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছেন।শেখ হাসিনার দিল্লি সফর যৌথ বিবৃতির পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে টিপাইমুখ বহুমুখী জলবিদ্যুপ্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যৌথ বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত হয়। ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংয়ের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সমঝোতা চুক্তি চূড়ান্ত হয়। বৈঠকশেষে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, সমঝোতা স্মারক সম্পূরক চুক্তি সইশেষে খুব শিগগির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। এই বৈঠকের ফলাফল হিসেবে ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল টিপাইমুখ নিয়ে এনএইচপিসি, এসজেভিএন মণিপুর রাজ্য সরকারের মধ্যে একই পরিমাণ অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিষয়ে বাংলাদেশ তখনো কোনো প্রতিবাদ জানায়নি বা ব্যাখ্যা চায়নি ভারতের কাছে
এরপর গত সেপ্টেম্বরে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর বার বার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাসবাণীর এক মাস পর ২২ অক্টোবর টিপাইমুখ বাঁধ জলবিদ্যুকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (এনএইচপিসি), সাটলুজ জলবিদ্যুনিগম লিমিটেড (এসজেভিএন) এবং মণিপুর সরকারের মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির খবর বিবিসির বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় এক মাস পর গত ১৯ নভেম্বর। আবারো প্রতিবাদ ওঠে সারাদেশে। বাঁধ নিয়ে দেশের মানুষ বিশেষজ্ঞরা আবারো কণ্ঠা ব্যক্ত করলেও আশ্চর্যজনকভাবে নীরব থাকেন সরকারের দায়িত্বশীলরা
সংবাদ প্রকাশের চারদিন পর ২৩ নভেম্বর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সে দেশের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয় ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া উচি তবে এর আগে যে সংসদীয় প্রতিনিধি দল টিপাইমুখ পরিদর্শনে গিয়েছিল তার একজন সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান এই বাঁধের পক্ষে কথা বলেন। ১৯ নভেম্বর তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিনিধি দলে আমাদের কারিগরি কমিটি ছিল, তারাও সে জিনিসটি তাদের কাছ থেকে বুঝেছে যে, ওখানে বাঁধ বা ড্যাম নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ বরং উপকৃত হবে। কারণ বর্ষা মৌসুমে যখন পানি থাকবে, তখন বাংলাদেশ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা পাবে এবং যখন শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকবে না, তখন বাংলাদেশ সেখান থেকে পানি পাবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ বরং সংরক্ষিতই হবে।২০ নভেম্বর সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান বলেন, গড়াই নদীর খনন যেমন আমাদের (বাংলাদেশের) নিজস্ব ব্যাপার তেমনি টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ২৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয় এমন কিছু করতে দেওয়া হবে না। ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী একই কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
একই সঙ্গে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ২২ নভেম্বরে চিঠি পাঠানোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পত্র লেখেন কেন? ক্ষমতায় থাকতে কেন কথা বলেননি?’ জাতীয় সংসদ এবং জনসভায় প্রধানমন্ত্রী টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে দেশের স্বার্থরক্ষার কথা বললেও সুনির্দিষ্টভাবে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা বলেননি। এমনকি ভারতের একতরফাভাবে টিপাইমুখ প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগের কোনো প্রতিবাদ বা সমালোচনাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে করেননি। বরং এই বাঁধের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেরাজনৈতিক সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিরঅভিযোগ তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২৪ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি সমালোচনা করেন। দিল্লির আশ্বাসে ঢাকা আশ্বস্ত- এমন কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিপাইমুখ প্রসঙ্গে সরকারের যে সমালোচনা হচ্ছে, তা যতটা না জাতির স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। নেপাল, ভুটানের সঙ্গে আমরা যখন টিপাইমুখের চেয়ে দ্বিগুণ আকৃতির বাঁধের কথা বলি, তাতে কিন্তু কারো আপত্তি থাকে না। কিন্তু টিপাইমুখ নিয়ে সমালোচনা ওঠে। টিপাইমুখ নিয়ে সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমালোচনাটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা এধরনের সমালোচনা করেন তারা বাস্তবতা না দেখে গায়ের জোরেই কথা বলেন।
টিপাইমুখ বাঁধ এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে দেশের মধ্যে প্রতিবাদ উঠলেও বিষয়ে সরকারের বক্তব্য-বিবৃতিতে সাধারণ প্রতিবাদমূলক কোনো ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে না। সরকারপ্রধান সরকারের পক্ষ থেকে নানা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকরভাবে ঢাকার পক্ষ থেকে দিল্লির কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি বা প্রতিবাদ করা হয়নি। ঢাকার পক্ষ থেকে টিপাইমুখ বাঁধ বিষয়ে একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে পাঠানো সম্পর্কিত একটি চিঠি পাঠানো হয়। যার জবাবে দিল্লি জানিয়েছেতারা আলোচনায় প্রস্ত্তত। তবে কবে প্রতিনিধি দল যাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের স্বার্থরক্ষায় সুনির্দিষ্টভাবে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেখানে বাংলাদেশে টিপাইমুখ প্রকল্পের ক্ষতিকর কোনো প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়নি। কার্যত এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের জন্য এই বাঁধ বিপর্যয়ের কারণ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। এরপরও আন্তর্জাতিক নদীতে ভারত একতরফাভাবে প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ন্যূনতম কোনো প্রতিবাদ জানায়নি, এমনকি ভারতের বিপক্ষে যেতে পারে এমন কোনো কথাও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ বলছেন না। বাঁধ নিয়ে যে বক্তব্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে তা স্রেফ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সময় দেওয়া আশ্বাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র। জাতীয় স্বার্থবিরোধী টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকার ভারতকে স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি না হলেও বাংলাদেশে যারা এর প্রতিবাদ করছেন তাদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীলরা নিয়মিতই প্রতিবাদকারীদের সমালোচনা করে চলেছেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন