সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

কাশ্মিরে কেন গণকবর?

২০১১ সালের আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ। জম্মু ও কাশ্মিরের মানবাধিকারের ইতিহাসে যোগ হলো নতুন এক বাস্তবতা। ভারত অধিকৃত কাশ্মির রাজ্যের এসএইচআরসি তথা ‘স্টেট হিউম্যান রাইটস কমিশন‘-এর পুলিশ তদন্ত বিভাগ নিশ্চিত করে, দুই হাজার ১৫৬ জন পরিচয়হীন কাশ্মিরির লাশ রয়েছে উত্তর কাশ্মিরের বিভিন্ন স'ানের ৩৮টি গণকবরে।
দুই দশক ধরে সেখানকার মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে লড়াই করে চলা বিভিন্ন মহল ও এপিডিপি অর্থাৎ ‘অ্যাসোসিয়েশন অব প্যারেন্টস অব ডিজঅ্যাপিয়ার্ড পারসন্স’ দাবি জানিয়ে আসছিল- কাশ্মিরে গণকবর সম্পর্কে একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্য, যারা তাদের প্রিয়জনকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটকাবস'ায় হারিয়েছেন তারা বারবার এ ব্যাপারে ন্যায়বিচার দাবি করে এলেও, তাদের এ দাবি বরাবর উপেক্ষিত হয়ে আসছিল। কাশ্মির পুলিশ কিংবা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কতজন কাশ্মিরি নিখোঁজ হয়েছেন, সে সংখ্যাটাও পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এপিডিপি ও জেকেসিসিএস অর্থাৎ ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি’ মনে করে কাশ্মিরে নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ৮০ হাজারের ওপর, কিন' কাগজেপত্রে রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৫০০ জনের ঘটনা। মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা মনে করেন, এর চেয়ে ঢের বেশি কাশ্মিরি নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা দরকার। বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া দরকার।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল অন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস ইন কাশ্মির’ (আইপিটিকে) প্রকাশ করে ‘বিউরিড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসএইচআরসি এ ব্যাপারে একটি তদন্তের আদেশ দেয়। এ তদন্তের দায়িত্ব পড়ে একজন সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশের (এসএসপির) ওপর। তিনি ছিলেন এসএইচআরসির তদন্ত শাখার প্রধান। যদিও এসএইচআরসি মনে করে, আইপিটিকের রিপোর্টটি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায়, তবুও জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার সরকার এ ব্যাপারে কোনো কিছুই রাখঢাক করবে না।
এগারো সদস্যবিশিষ্ট এসএইচআরসি তদন্ত কমিটি এর ১৭ পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, দুই হাজার ৭৩০টি লাশ কবর দেয়া হয়েছে উত্তর কাশ্মিরের বড়মোল্লা, বন্দিপুর ও কুপওয়ারা জেলায়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়: ‘পুলিশ এসব লাশকে পরিচয়হীন বিদ্রোহীর লাশ বলে দাবি করে, এগুলো উত্তর কাশ্মিরের বিভিন্ন অচিহ্নিত কবরস'ানে কবর দেয়ার জন্য স'ানীয় লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।’ পরবর্তী সময়ে ৫৪৭টি লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনের লাশ তাদের নিজ এলাকার কবরস'ানে স'ানান্তর করা হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয়, এখনো দুই হাজার ১৫৬টি লাশের পরিচয় জানা যায়নি। এই তদন্ত দল খুঁজে পেয়েছে পাঁচটি মাথার খুলি, ২০টি পুড়ে যাওয়া লাশ। পুলিশ আরো ১৮টি এমন কবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে একটি কবরে ছিল একাধিক লাশ। পুলিশ এসব এলাকার লোকজনের কাছ থেকে এসব হত্যা-ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করেছে। তবুও পুলিশ লিখিতভাবে শুধু প্রকাশ করেছে ৬২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, যারা তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করতে সম্মত ছিলেন। অন্যরা নিরাপত্তার কারণে প্রকাশ্যে আসতে রাজি ছিলেন না বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এপিডিপির রিপোর্টের সাথে তুলনা করে এই তদন্ত দল বলেছে, রাজ্য পুলিশের পরিসংখ্যান মতে ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয় ঝিলাম নদী থেকে। এপিডিপির রিপোর্ট অনুসারে মনে করে, গণকবরে ছিল দুই হাজার ৩৭৩টি লাশ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় এটি সন্দেহাতীত যে, উত্তর কাশ্মিরের বিভিন্ন স'ানে গণকবরের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব কবরে থাকা লাশগুলোর বেশির ভাগেরই রয়েছে বুলেটের আঘাত। এ রিপোর্টে আরো বলা হয়, সরকার এক হাজার ৬৯২টি লাশের কথা উল্লেখ করেনি।

রিপোর্ট মতে, পুলিশের দেয়া বিবৃতি ভুল প্রমাণিত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে, গণকবরে কবর দেয়া পরিচয়হীন লাশগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে তাদের নিকটাত্মীয়দের ডিএনএ তুলনা করে দেখা। ডিএনএ এক্সট্রাকশনের সুযোগ এখনো প্রচুর। সময় যত যাবে এ সুযোগ তত কমবে। কমিশনের উচিত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।
রিপোর্টে এই মর্মে পরামর্শ দেয়া হয়, ‘এএফএসপিএ তথা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট’-এর আওতায় ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে হলে- যখনই কোথাও কেউ নিহত হবেন, তিনি হোন কোনো বিদ্রোহী কিংবা কোনো নিরপরাধ বেসামরিক ব্যক্তি- সাথে সাথে তার ডিএনএ প্রোফাইল যথাযথভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
এসএইচআরসি রিপোর্ট ভারতীয় কাশ্মির রাজ্যে রীতিমতো এক আলোড়নের জন্ম দেয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সাজানো এনকাউন্টারের নাম করে ব্যাপক হারে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের গুম করার ঘটনা ঘটে চলেছে। এ ধরনের এনকাউন্টারের জন্য দায়ীদের এ রাজ্যসরকার বিচারের মুখোমুখি করেনি, শুধু একজন এসএসপি ছাড়া। তাকে ২০০৫ সালে গান্দারবালের একটি সাজানো এনকাউন্টারের মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০০০ সালে একটি সাজানো এনকাউন্টারে সন্দেহভাজন পাঁচজন বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়। সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এ জন্য ক’জন ব্রিগেডিয়ার ও অন্য চারজনকে অভিযুক্ত করে। কিন' ভারত সরকার তাদের বিচার করতে অস্বীকার করে।
এসএইচআরসি রিপোর্ট মতে, লাশের ডিএনএ প্রোফাইলিং করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। কিন' তেমনটি মনে করেন না রাজ্যসরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি ডিএনএ স্যাম্পলিংয়ের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে একটি ভারতীয় পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে এ রাজ্যে আসা কিছু মিলিট্যান্টকে এখানে কবর দেয়া হয়ে থাকতে পারে। আমরা কী করে তাদের হিসাব রাখতে পারি, যেখানে তাদের মধ্যে বিদেশীরাও রয়েছে?’
কাশ্মিরের মূল ধারার রাজনৈতিক দলসহ স্বাধীনতাকামী দলগুলোর পক্ষ থেকে চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাজ্যসরকার বলছে, সরকার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে। রাজ্যসরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আলী মোহাম্মদ সাগর বলেন, ’কাউকে বাঁচানোর প্রশ্নই ওঠে না। আগে প্রতিবেদন প্রকাশ হোক। তখন আইনের আওতায় যা করা দরকার, সরকার তা করবে।’
অপর দিকে ইউনিয়ন সরকার মনে করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক রিপোর্ট ও অন্যান্য সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে- এ রাজ্যে গত ২০ বছরে ছয় হাজার বিদেশী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। কিন' জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, ১৯৯৮-২০১০ সাল পর্যন্ত এর সংখ্যা ৫৬৯ জন। অতএব মানবাধিকার কর্মীদের প্রশ্ন হচ্ছে, বাকিরা গেল কোথায়? ‘এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার’- বললেন এক মানবাধিকার কর্মী।

নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ ২০০৬ সালে এর একটি ব্যাপকভিত্তিক রিপোর্টে বলেছে, ‘সেনাবাহিনীর লোকদের মাধ্যমে জোর করে ধরে নিয়ে গুম করার ঘটনা কাশ্মিরে বিরোধ সৃষ্টির প্রথম দিক থেকেই ছিল ব্যাপক’। রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘এই সমস্যা এতটাই পরিব্যাপক ছিল যে, বিষয়টি ২০০২ সালে রাজ্যসভার নির্বাচনী প্রচারে একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে ওঠে’। ম্যানিলা-ভিত্তিক ‘এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি)’ কাশ্মিরে গুম হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি দেখাশোনা করেন। এএফএডি এ ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতায় দুঃখ প্রকাশ করে।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক চাপের পরও এ ব্যাপারে ভারত সরকারের কোনো বোধোদয় ঘটেনি। চেতনা হয়নি। একের পর এক আসা প্রতিটি সরকার একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস'াগুলোর দাবি উপেক্ষা করে আসছে। সরকারের বিভিন্ন্ সূত্রের দেয়া পরিসংখ্যানের মধ্যে বৈপরীত্যও এখানে কোনো কাজে আসেনি। ২০০৯ সালের ১৪ আগস্টে সরকার রাজ্যসভাকে জানায়, আটকাবস'ায় নিখোঁজ হওয়া লোকের সংখ্যা মাত্র ১১০ জন। এর মধ্যে ৯৮ জনের ব্যাপারে মামলা দায়ের করে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারটি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন' এর মাত্র ১০ দিন পর সরকার রাজ্যসভায় স্বীকার করে, এ সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৪২৯।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ২০০১ সালের জুনে ছিল ৩৯৩১ জন থেকে কমে ২০০৯ সালের আগস্টে ৩৪২৯ জনে নামে। তবে এ সময়ে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে যায়।

ওমর আবদুল্লাহর রাজ্যসরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে ‘ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট’ বাতিল করার জন্য। এ আইনে ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’-এর যৌক্তিকতা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজটি ওমর আবদুল্লাহর সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া পার্লামেন্ট হাউজে হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া আফজাল গুরুর ক্ষমা মঞ্জুর করার ব্যাপারে এ সরকার এক মহাপরীক্ষার মুখোমুখি। কাশ্মিরে গণকবর নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেক উত্তপ্ত পরিসি'তি।
পরিসি'তি এখন ভারতের জন্য বেগতিক হয়ে উঠছে। সে জন্য ভারত সরকার এখন খড়গহস্ত সাংবাদিক আর মানবাধিকার কর্মীদের ওপর। কাশ্মির বিষয়ে ভারত সরকারের অতি স্পর্শকাতরতার শিকার হয়েছেন অনেক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। গত ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির বিমানবন্দর থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও সাংবাদিক ডেভিড বার্সামিয়ানকে। কারণ তিনি নানাভাবে ভারত সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখেন। সানফ্র্যান্সিসকোর নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক রিচার্ড শ্যাপিরোকে কোনো কারণ না দেখিয়ে ২০০১ সালে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সম্ভবত এটি ছিল তারই সহকর্মী অঙ্গনা চট্টোপাধ্যায়কে শাস্তি দেয়ার একটি উপায়। অঙ্গনা হচ্ছেন মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সম্পর্কিত ‘ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল’-এর কো-কনভেনার। এই ট্রাইব্যুনালই সর্বপ্রথম কাশ্মিরের অজানা গণকবরের বর্ণনা প্রকাশ করে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এএফএডির ম্যা একুইনোকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরও আগে ২৮ মে ভারতের স্পষ্টবাদী গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সক্রিয়বাদী গৌতম নাভলাখকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এদের এবং এদের মতো অনেককেই ভারত সরকার ভয় করে। কারণ এরা কাশ্মিরে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ইতিহাস কখন ফাঁস করে দেয়। এ জন্যই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস'া।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- কাশ্মিরে কেন এই গণকবর? কারা এ জন্য দায়ী? কেন নিরাপত্তার নামে নানা নামের ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা দিনের পর দিন কাশ্মিরিদের এভাবে গুম করবে? কেন তাদের ঠাঁই হবে গণকবরে? কেন এর বিরুদ্ধে লড়ে চলা দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের কাশ্মিরে ঢুকতে দেয়া হবে না? এর জন্য ভারত সরকারকে কেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে না? দেশী কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে?- এসব প্রশ্ন এখন কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রশ্নের চেয়েও যেন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন' কে দেবে এর জবাব? আন্তর্জাতিক মোড়লেরা তো নিজেরাও দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে সদর্পে। এরা কোনো জবাবদিহিতার ধার ধারে না। তাদের কাছে এ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা কিংবা কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবির পক্ষে অবস'ান নেয়ার দাবি তো অনেক আগেই মূল্যহীন হয়ে আছে। অতএব কাশ্মিরিদের সামনে পথ একটাই খোলা- যে করেই হোক, নিজেদের অধিকার নিজেদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। আর তা এক দিন বাস্তবায়িত যে হবে, তা নিশ্চিত। কারণ স্বাধীনতার লড়াই পৃথিবীর কোথাও ব্যর্থ হয় না, হতে পারে না। ইতিহাস বারবার সে প্রমাণই মানুষের সামনে হাজির করেছে। তা ছাড়া কাশ্মিরে তো এখন গণকবরের লাশেরাও কথা বলতে শুরু করেছে। অতএব কাশ্মিরিদের অধিকার আদায়ের যৌক্তিক পরিণতির বেশি দেরি নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন