বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১১

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক এবং একটি চাঞ্চল্যকর বই

১৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাষণে চীনের প্রতি তির্যক কিছু বক্তব্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ করে দাঁড় করাল এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করল! যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে এই নতুন করে টেনশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে অভাবিতপূর্ব চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি পারস্পরিক ব্যালান্স বজায় রাখার যে নীতি বাংলাদেশ অনুসরণ করে আসছে, তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ওবামার ভাষণে চীনকে লক্ষ্য করে কঠোর উক্তি চীনকে বিস্মিত করেছে। পাশাপাশি চীনও তার অবস'ানকে দৃঢ়তর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। চীনের জাতীয়তাবাদী ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস ... যে পত্রিকার সাথে চীনের সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ আছে- প্রধান হেডলাইন দিয়ে ঘোষণা করেছে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ বাধবে ভাবা যায় না, কিন' এটা অসম্ভবও নয়’। চীনের সামরিক বাহিনী ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সামরিক বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির (অ্যাকাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্স) কর্মকর্তা মেজর জেনারেল লুও ইউয়ান গ্লোবাল টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন, ‘যদি চীনের মৌল স্বার্থগুলো যেমন- সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা এবং দেশের অখণ্ডত্বের ওপর কোনো প্রকার হুমকি আসে, সামরিক সংঘর্ষ অপরিহার্য হয়ে পড়তে পারে।’
গত দেড় বছর থেকে চীন দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিরোধে কঠোরতর অবস'ান নিচ্ছে। চীন একটি নতুন বিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ এ অঞ্চলে সংযোগ করেছে, নবনির্মিত আধুনিক ‘স্ট্রিলথ’জাতীয় বোমারু বিমানের বহর সজ্জিত করেছে এবং তার সামরিক বাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত করে অধিকতর শক্তিশালী করতে বাজেটে অধিকতর তহবিল জোগান দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের ‘পেছনের আঙ্গিনা’য় (ব্যাকইয়ার্ডে) যুক্তরাষ্ট্রও তার অবস'ান দৃঢ়তর করতে শুরু করে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে চীন সরকার গত বছর পিকিং সফরকারী মার্কিন কর্মকর্তা দলকে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় মার্কিন প্রভাব হ্রাস করতে এবং চীনের সাথে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধে নাক না গলাতে আহ্বান জানায়। চীনের সাথে বিরোধ আছে এমন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জাপান ও ফিলিপিন দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ।
পাশ্চাত্যের পর্যবেক্ষকেরা অস্ট্রেলিয়ায় দেয়া ওবামার ভাষণকে ‘চীনের প্রতি নোটিশ প্রদান’রূপে দেখছেন। ওবামা তার ভাষণে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অবস'ান বজায় রাখবে’ এবং ‘এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে চায়’। ভাষণে ওবামা অস্ট্রেলিয়ার ভূমিতে ২০১৬ সাল নাগাদ দুই হাজার ৫০০ মার্কিন মেরিন সৈন্য রাখার ঘোষণা দেন। ওবামা আরো বলেন, এ অঞ্চলে তার জাতীয় নিরাপত্তার অগ্রাধিকার তালিকায় সর্বোচ্চ অবস'ানে উন্নীত হবে। কৌশলগত বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কথার অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র এ এলাকায় তার সমরাস্ত্র সম্ভার চীনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রেঞ্জের বাইরে মজুদ করতে থাকবে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং জাপানে মার্কিন ঘাঁটিগুলো চীনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রেঞ্জের বাইরে নয়।

ওবামা বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অবস'ানে রাখার জন্য আমার জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশ দিয়েছি।’ প্রেসিডেন্ট ওবামা অস্ট্রেলিয়ার ডারউইন শহরে যেখানে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি স'াপন করা হবে, সেই স'ান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘আমেরিকার শক্তির প্রতিটি উপাদান দিয়ে’ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় ‘সবার জন্য নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও মর্যাদা’ সম্পন্ন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ গড়ার যে পরিকল্পনা করছি তাতে এ অঞ্চলে আমাদের শক্তিশালী সামরিকব্যবস'া বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব সম্পদ আমরা নিয়োজিত করব।’ ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে একটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় শক্তি এবং এখানে অবস'ান আমরা বজায় রাখবই।’
যদিও ওবামা একটি ‘শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধিশালী’ চীনের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা সবসময়ই ব্যক্ত করে থাকেন, কিন' অস্ট্রেলিয়ায় প্রদত্ত ভাষণে ওবামা পরোক্ষভাবে চীনকে কঠোর আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন; অবশ্য ভাষণে তিনি একবারও চীনের নাম মুখে আনেননি। ভাষণে ওবামা বলেন, ‘এ কথা সত্য যে, কিছু অধিকার বৈশ্বিক : যার মধ্যে আছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সমাবেশ করার স্বাধীনতা, নিজ নিজ ধর্ম পালন করার স্বাধীনতা এবং নিজেদের নেতা নির্বাচিত করার জনগণের স্বাধীনতা।’ ওবামার বক্তব্যে এই অংশটি সরাসরি চীনকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে নিয়ত অভিযোগ করে আসছে, চীন বিশ্ববাণিজ্য সংস'ার নিয়মকানুন ভঙ্গ করে, শ্রমিকদের ইউনিয়ন সংগঠন করার অধিকার দেয় না, চীনে বিনিয়োগকারী বিদেশী কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, বিদেশী কোম্পানিগুলোকে তাদের আধুনিকতম টেকনোলজি চীনকে প্রদান করতে বাধ্য করে, চীনের মুদ্রাকে এমন নিম্ন মূল্যমানে বেঁধে রাখে যার ফলে আমেরিকান ডলার এবং বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ইহুদি সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর বই
বিশিষ্ট আমেরিকান ইহুদি সাংবাদিক গারশম গোরেনবার্গ দ্য আনমেকিং অব ইসরাইল (ইসরাইলের পতন) নামের বই প্রকাশ করে পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক ও মিডিয়া জগতে দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। গোরেনবার্গের বইয়ের মূল বক্তব্য হলো- ১৯৬৭ সালে আরবদের বিরুদ্ধে সাত দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের বিজয় দেশটির পতনের মূল বীজ বপন করেছে।
ইসরাইল রাষ্ট্রের নীতি, অধিকৃত ফিলিসি-নি ভূখণ্ডে ইসরাইলিদের বসতি নির্মাণ এবং পাশাপাশি দুই স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের অবস'ান ভিত্তিতে ইসরাইল-ফিলিসি-ন বিরোধের সমাধানে ইসরাইলের অনীহা এখন বিশিষ্ট ইহুদি বুদ্ধিজীবীদেরই ইসরাইলের প্রতি দারুণ বিরূপ করে তুলছে। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গোরেনবার্গের বইয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস- যার মালিকানার বেশির ভাগের অধিকারী ইহুদি পুঁজিপতি ও বিনিয়োগকারীরা- এর ২০ নভেম্বর (২০১১) সংখ্যায় গোরেনবার্গের বইটির রিভিউ প্রকাশ করেছে পত্রিকাটির পূর্ণ পৃষ্ঠায়। রিভিউতে বইটির মূল বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে। রিভিউটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য আটলান্টিক-এর ন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট এবং খ্যাতনামা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেফারি গোল্ডবার্গ (একজন ইহুদি)।

দ্য আনমেকিং অব ইসরাইল বইয়ে গোরেনবার্গ লিখেছেন যে, ৪৪ বছর আগে ১৯৬৭ সালে আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইল সুনিশ্চিতভাবে জয়লাভ করার পর ইসরাইলের ধারণা জন্মেছে যে, যুদ্ধে দখল করা আরবদের (ফিলিসি-নিদের) ভূমি ইসরাইল পূর্ণ হজম করে ফেলার পরও ইসরাইল তার সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি জনসংখ্যা নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সমৃদ্ধিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে নিজেকে বিশ্বে জাহির করতে পারবে। এই ধারণাই ইসরাইলকে তার পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কট্টরপন'ী ইসরাইলি মহলে গোরেনবার্গকে মার্কিনি ভাবধারায় চালিত একজন বামপন'ী ইহুদি সাংবাদিক বলে মনে করা হয়। গোরেনবার্গ তার বইয়ে লিখেছেন, আজকের ইসরাইল রাষ্ট্র কট্টরপন'ী ভাবধারায় ভরপুর, যেখানে আরব জনসংখ্যাকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। আজকের ইসরাইলের সেনাবাহিনী আগের মতো ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিবাদী নেতৃত্বের দ্বারা পরিচালিত হয় না, এখন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ডানপন'ী রক্ষণশীল কর্মকর্তারা আধিপত্য বিস-ার করেছে। এদের অনেকেই ইসরাইলের নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান- অপেক্ষা ‘ইহুদিদের আদিভূমি পুনরুদ্ধার করার’ ভাবধারার অনুপ্রেরণায় পরিচালিত হয়। পশ্চিমতীরে আরবদের ভূমির ওপর একটি বাহ্যত অস'ায়ী দখল কিন' বাস-বে একটি স'ায়ী দখল বর্তমানের ইসরাইলকে কলুষিত করেছে।
গোরেনবার্গ লিখেছেন, দখলকৃত আরব ভূমিতে ইহুদিদের বসতি স'াপন কোনো পূর্বপরিকল্পিত প্ল্যান ছিল না। কিন' ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে জয়লাভ করে ইসরাইলে যখন আনন্দের বন্যা বইছে, তখন সেই সুযোগে আগে প্রানি-ক অবস'ানে থাকা একটি ক্ষুদ্র অতিরক্ষণশীল কট্টর ইহুদি গ্রুপ পশ্চিমতীরে ইসরাইলের বিজয়কে দেখল বাইবেলে বর্ণিত ইহুদিদের জুডিয়া ও সামারিয়া এলাকা ফিরে পাওয়ারূপে এবং ইসরাইলের বিজয়কে তারা দেখল তাদের প্রতি বিধাতার আশীর্বাদ এবং ইহুদিদের ধর্মগ্রনে' বর্ণিত ইহুদিদের পুনঃশক্তি অর্জনের সঙ্কেতরূপে।
ইসরাইল কিভাবে পশ্চিমতীরে ফিলিসি-নিদের ভূমি গ্রাস করছে, তার একটি উদাহরণরূপে গোরেনবার্গ পশ্চিমতীরে ওফ্রা নামের একটি স'ানের উল্লেখ করেছেন। ওফ্রায় এখন তিন হাজার ইসরাইলি বসতি স'াপন করেছে, যে বসতিগুলো স'াপিত হয়েছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং কোনো প্রকারের অনুমোদন ছাড়া। গোরেনবার্গ লিখেছেন, ইসরাইলি বসতিগুলো স'াপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ করে এবং ইসরাইলের নিজস্ব আইনকেও লঙ্ঘন করে।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ওফ্রার জন্য কোনো শহর পরিকল্পনা অনুমোদন করেনি। এ সম্পর্কে ইসরাইলি সামরিক কর্তৃপক্ষের ডাটাবেইসে উল্লেখ করা হয়েছে “ফিলিসি-নিদের নিজস্ব মালিকানার ভূমিতে ‘কোনোরূপ আইনি ভিত্তি ব্যতিরেকে’ (ইসরাইলি বসতি স'াপনকারীরা) ওফ্রা শহর নির্মাণ করেছে।” গোরেনবার্গ আরো লিখেছেন, ‘আইজ্যাক রবিন ও শিমন পেরেজের (ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা) মতো রাজনীতিকদের সমর্থন
না পেলে ইসরাইলিরা ওফ্রাতে বসতি স'াপনে সফল হতো না।’
রিভিউর লেখক প্রফেসর জেফারি গোল্ডবার্গ নিজের এক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রিভিউটির সমাপ্তি টেনেছেন। তিনি সমপ্রতি পশ্চিমতীর এলাকা সফর করেন। সেখানে তিনি এক ফিলিসি-নির সাথে কথা বলেন একটি স্ট্রিটে যেখানে ইসরাইলি বসতি স'াপনকারীদের মধ্যে কিছু কিছু ফিলিসি-নিও বাস করে। ইহুদি বসতি স'াপনকারীদের ইসরাইলের পূর্ণ নাগরিকরূপে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে দেয়া হয়, তারা নির্বাচনে ভোট প্রদান করে এবং তারা ইসরাইলি আদালতে অবাধে বিচার চাইতে পারে। বিপরীতে ফিলিসি-নিরা কোনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পায় না, নির্বাচনে তাদের ভোট দেয়ার অধিকার নেই, আদালতে বিচার চাইতে যাওয়ার অধিকার তাদের নেই!
বইয়ের লেখক গোরেনবার্গ তার বইয়ে প্রশ্ন করেছেন, যে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ন্যায়নীতি এবং আইনি ন্যায়বিচার করার জন্য বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে, সেই ইসরাইলের একটি অঞ্চলে এমন ন্যায়নীতিহীনতা ও অবিচার চলে কী করে?
রিভিউর লেখক গোল্ডবার্গ লিখেছেন, গোরেনবার্গের বইটি এটা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে যে, এ ধরনের অন্যায় ও অবিচারের পরিসি'তি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না।
লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিস্ট
moyeenulalam@hotmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন