সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

গাদ্দাফিকে গুলি করল কে?


মুয়াম্মার গাদ্দাফি কীভাবে নিহত হয়েছেন, তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এর বেশির ভাগ তথ্যই বিভ্রান্তিকর এবং সূত্রগুলো অনিশ্চিত। তবে প্রায় সব সূত্রই বলছে, গাদ্দাফি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন, এই লৌহ মানবকে কে গুলি করল?
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে। ভিডিওচিত্র বিশ্লেষণ করে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরতের কাছে গাদ্দাফি যখন ধরা পড়েন, তখন তিনি জীবিতই ছিলেন। তাঁকে আটককারীদের মধ্যে কেউ কেউ এ সময় চিত্কার করে বলেছিলেন, ‘তাঁকে বাঁচিয়ে রাখো, তাঁকে বাঁচিয়ে রাখো।’ ভিডিওতে এরপর গাদ্দাফি দৃষ্টির আড়ালে চলে যান এবং গুলির শব্দ শোনা যায়।
তবে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, এনটিসির সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে গাদ্দাফি ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে।
এনটিসি দাবি করেছে, তাদের পক্ষ থেকে গাদ্দাফিকে হত্যার কোনো নির্দেশ ছিল না। তবে এনটিসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, তাঁদের সেনারা গাদ্দাফিকে জীবিত অবস্থাতেই ধরেছিলেন। ধরার পর তাঁকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন এনটিসির সেনারা তাঁকে বেদম মারধর করেন এবং হত্যা করেন। তিনি সম্ভবত এনটিসির সেনাদের প্রতিরোধ করছিলেন।
সালেম বকর নামের এক এনটিসি যোদ্ধা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা কালভার্টের মধ্যে ঢুকে গাদ্দাফিকে বের করে আনি। তিনি বলছিলেন, ‘আমার অপরাধ কী, আমার অপরাধ কী। এসব কী হচ্ছে।’ এরপর আমরা তাঁকে একটি গাড়িতে তুলি। গাদ্দাফি রক্তক্ষরণে গাড়িতেই মারা যান।’
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এনটিসির কেউ একজন নাইন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গাদ্দাফির পেটে গুলি করেছেন।
এনটিসির কর্মকর্তা আবদেল মজিদ জানিয়েছে, গাদ্দাফি দুই পায়েই আঘাত পেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি মাথাতেও চোট পেয়েছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদ্রোহী সেনারা গাদ্দাফিকে নির্মমভাবে মারধর করেছে এবং তাঁকে হত্যা করেছে। এটাই যুদ্ধ।’
তবে ওমরান জোউমা শাওন নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গাদ্দাফি তাঁর নিজের লোকের হাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুয়াম্মার গাদ্দাফির একজন দেহরক্ষী তাঁকে বুকে গুলি করেন।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন