বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

শত্রুর খোঁজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : লক্ষ্য চীন


 ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব-নেতৃত্ব অক্ষুণ্ণ থাকা : একবিংশ শতাব্দীর প্রতিরক্ষা প্রশ্নে অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক নতুন মার্কিন সামরিক নীতিটি জানুয়ারিতে সরকারিভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে। থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, ওয়াশিংটন এখন চীন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই তার মনোযোগ বেশিমাত্রায় নিবদ্ধ করছে। ইরাক এবং আফগান যুদ্ধই প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল থেকে তার নজরদারি প্রকৃত অর্থে সরিয়ে নেয়নি। মার্কিন বিমান বাহিনীর এফ-২২ যুদ্ধবিমানগুলোর প্রায় অর্ধেক পরিমাণই এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা আছে। তাদের বিমানবাহী দুটি যুদ্ধজাহাজ এই অঞ্চলে সবসময়ই টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্তত ২২ হাজার মার্কিন সৈন্য স্থায়ীভাবেই দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছে। ২০০৬ সালে পেন্টাগন জানিয়েছিল, পরবর্তী চার বছরের জন্য তারা তাদের ৬টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং মার্কিন সাবমেরিনগুলোর ৬০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করে রেখেছে। চীনের তীব্র আপত্তি সত্তেবও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনাবেচার একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে। নতুন সামরিক কৌশলটি প্রকাশ করার আগেই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ায়ও তার সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে।
তবে ইরাক যুদ্ধের সমাপ্তি এবং আফগান যুদ্ধও শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন তার নতুন শত্রু শনাক্ত করতে শুরু করেছে। পেন্টাগন প্রকাশিত ২০১২ সালের কৌশলপত্রে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্বার্থসমূহ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত বলয়টির ঘটনাবলীর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। সুতরাং, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ভারসাম্য রক্ষার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্র অনুভব করে থাকে। নয়া সামরিক নীতি প্রকাশ করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামা জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিরক্ষা বাজেট কাটছাঁট করলেও এখনো তা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রথম ১৪টি দেশের সামরিক বাজেটের মোট পরিমাণের চেয়ে বেশি। তাছাড়া প্রবৃদ্ধির হার একটু কম হলেও পরবর্তী ১০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ বেড়েই চলবে। পেন্টাগনের সর্বশেষ সামরিক নীতিতেও বলা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রধান প্রতিপক্ষ চীনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। পেন্টাগন বলছে, আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য নানামাত্রিক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই ওই অঞ্চলে সম্ভাব্য যে কোনো ধরনের বিরোধ এড়ানোর স্বার্থে চীনকে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে চীনের সামরিক শক্তি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও তারা বলছে, সামরিক শক্তির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষতা অর্জন করতে চীনের এখনো অনেক বাকি।
পেন্টাগণ প্রকাশিত কৌশলপত্রে গুরুত্বের সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী একটি সামরিক জোট গড়ে তোলার প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে চীনবিরোধী এই সামরিক জোটে ভারত এবং ভিয়েতনামকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। কৌশলপত্রে ভারতকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারতই বৃহত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করে যাবে। গত কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ভারত এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ বাহিনী ‘কম্পাস’-এর ওপর আরোপিত তার নিষেধাজ্ঞা ইতোমধেই তুলে নিয়েছে। তাছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বহুবছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। চীনের অন্য প্রতিবেশী মিয়ানমারও পশ্চিমা সামরিক কৌশলের সঙ্গে যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরকে এখনো ‘আমেরিকান হ্রদ’ হিসেবেই দেখতে চায়। একই সঙ্গে সে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথগুলো দিয়ে তার যুদ্ধজাহাজগুলোর চলাচল নিশ্চিত করতে চায়। সেটি হরমুজ কিংবা মালাক্কা যে কোনো প্রণালী দিয়েই হোক। পেন্টাগনের নতুন এই সামরিক নীতিতে পণ্যের অবাধ চলাচল এবং বিশ্বের সর্বত্র সেসব পণ্যের পৌঁছতে পারা নিশ্চিত করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের কথাও উল্লেখিত রয়েছে। নতুন সামরিক কৌশলটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ওবামা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ‘সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সোসাইটি’ নামের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে একটি সহযোগিতামূলক বলয় তৈরি করার জন্যে ওয়াশিংটনের প্রতি আহবান জানিয়েছে। তাদের কথিত উদ্দেশ্য, ওই অঞ্চলের নৌচলাচল এবং ছোট রাষ্ট্রগুলোর স্বাধীনতা রক্ষা করা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ২০১০ সালেই চীনকে মোকাবিলা করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ বিদ্যমান এবং ওই অঞ্চলের ছোট প্রতিবেশীগুলোর সঙ্গে চীনের যে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে সেসব বিরোধ নিষ্পত্তিতেও ভূমিকা রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। ১০ লাখ বর্গমাইলের চেয়েও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত দক্ষিণ চীন সাগর ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমুদ্রপথ এই এলাকা দিয়ে প্রবাহিত এবং এলাকাটির বিপুল সম্ভাবনাময় তেল ও গ্যাসের মজুদ এখনো অনাহরিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সামরিক সহযোগীরা যদি অঞ্চলটির দখল নিতে পারে তবে নৌপথে চীনকে আটকে দেওয়া তাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং ইয়ানশেইন বলেছেন, পেন্টাগনের নয়া সামরিক কৌশলের দলিলে চীনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য কোনো রকম চ্যালেঞ্জ তো নয়ই, বরং নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীন এবং চীনের সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বস্ত্তনিষ্ঠতা ও যুক্তিগ্রাহ্যতার পথ অনুসরণ করে চলবে।
পিপলস লিবারেশন আর্মির দৈনিকে প্রকাশিত এক লেখায় শীর্ষস্থানীয় চীনা সামরিক কর্তা মেজর জেনারেল লুইয়ান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত্ত হিসেবে স্থির করেছে। তিনি বলেন, চারদিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রধান পাঁচ সামরিক সহযোগীকে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সে এই পাঁচটি দেশে তার নিজস্ব পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিও গড়ে তুলছে। তাছাড়া চীনকে ঘিরে থাকা অন্যান্য দেশেও যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের প্রচেষ্ট চালাচ্ছে। জেনারেল ইয়ান তার লেখায় যুক্তরাষ্ট্রকে তার পেশীশক্তি ব্যবহারে সংযত হওয়ারও আহবান জানিয়েছেন। মার্কিন সৈন্যরা হয়তো ইরাক ছেড়ে চলে আসতে পারে, কিন্তু ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকরা সেই অঞ্চলের তেল সম্পদের ওপর থেকে কিছুতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে আনবে না। এ কাজটি করার জন্যই ওয়াশিংটন সেখানে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার দোহাই দিতে শুরু করেছে। এটি তার আরেকটি সামরিক কৌশল। ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো সরিয়ে আনা কিংবা উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে নিয়োজিত মার্কিন সৈন্যসংখ্যা কমানোর কোনো প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক কৌশলপত্রের মধ্যে রাখা হয়নি।
ওবামা মুখে মুখে আরব বসন্তের পক্ষে কথা বললেও সৌদি আরবের মতো একনায়কতান্ত্রিক শাসকদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। গত বছর সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পাদিত অস্ত্র চুক্তিকে এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ অস্ত্র চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা দলিলে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্ভাব্য সংঘাতের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে। দলিল প্রকাশকালে পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনী একই সঙ্গে ইরান এবং কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্ত্তত রয়েছে।
৬৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়া সত্তেবও এখনো জার্মানি, জাপান এবং কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকা ও এশিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে সে আশঙ্কা তো রয়েই গেছে। পেন্টাগন প্রকাশিত দলিলে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে যা যে কোনো ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম।
৯/১১ ঘটনার পর বুশ প্রশাসনের নেওয়া অগ্রাধিকারের নীতি ওবামা প্রশাসনও অনুসরণ করে চলেছে। অথচ এ জাতীয় নীতিকে আন্তর্জাতিক আইন অনুমোদন করে না, জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ২০০১ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশেই বোমা হামলা চালিয়েছে এবং দখলদারিত্ব কয়েম করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত পেন্টগন দলিলে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি মনে করে কোনো দেশ বিপন্ন তবে সে দেশের সাহায্যে সে এগিয়ে যাবে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে বিপজ্জনক কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর ওপরও সে সরাসরি হামালা চালাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্ব পুলিশের ভূমিকা পালন করছে। কোনো ব্যক্তি, গ্রুপ বা দেশ হুমকি হয়ে উঠতে পারে সেটিও যুক্তরাষ্ট্রই নির্ধারণ করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অগ্রাধিকার নীতির বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে।
ইরান সরকার অভিযোগ করেছে, সিআইএ তার পরমাণু বিজ্ঞানীদের পিছু নিয়েছে। অনেক প্রতিবেদনের ভাষ্যমতেই লিবিয়ার নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।
একই সঙ্গে দুটি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালানোর যে পরিকল্পনা পেন্টাগন গ্রহণ করেছে তাতে ড্রোন আক্রমণ এবং কৌশলগত বোমা হামলার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, সে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রভিত্তিক ড্রোন মোতায়েন করবে। এটি করা হলে সমুদ্রে ভাসমান জাহাজ থেকে দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্ত্ততেও হামলা চালাতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং হামলা পরিচালনাকারী যুদ্ধজাহাজটিও নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই প্রচলিত ধরনের যুদ্ধবিমান ও বোমাবর্ষণের পরিবর্তে ড্রোন হামলা পরিচালনা করতে পারার মতো বৈমানিকদের বেশি পরিমাণ প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে। পেন্টাগনের বাজেট থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার ড্রোন হামলা প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যেই ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। ২০১২ সালে প্রযুক্তির পেছনে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। ড্রোনকে মৃত্যুদূত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ওবামা হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর থেকে ড্রোন হামলার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। প্রকাশিত এক তথ্য থেকে জানা গেছে, বুশ প্রশাসন যেখানে প্রতি ৪৭ দিনে একটি ড্রোন হামলা চালানোর অনুমতি দিত ওবামা প্রশাসন সেখানে প্রতি চার দিনে একটি ড্রোন হামলার অনুমতি দিয়ে চলেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন