শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির হিসাবে শুভংকরের ফাঁকি


আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার কথা বললেও বাস্তবে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলার থেকে কমতে কমতে বর্তমানে ৮৬ ডলারে এসে ঠেকেছে। তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য কমেছে প্রায় ২০ ডলার। ৩ বছরের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আর এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যও কমতে শুরু করেছে। তিন মাস আগে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি মূল্য ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ ডলার। সূত্র আরও জানায়, বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলার। ওই সময় দেশে ডিজেল এবং কেরোসিন বিক্রি হতো প্রতি লিটার ৩৩ টাকা করে। ওই সময়ের তুলনায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে মাত্র ১০ শতাংশ বেড়েছে। সেই হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এক মাস আগের আনা (বর্তমানে) জ্বালানি তেলের দাম (ডিজেল এবং কেরোসিন) ৩৭ থেকে ৩৮ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। যেহেতু সরকার ৫১ টাকায় বিক্রি করছে, সেহেতু সরকার প্রতি লিটার ডিজেল এবং কেরোসিনে ১৩ থেকে ১৪ টাকা লাভ করছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, সরকার যে দামে জ্বালানি তেল কিনছে, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।
আর দুর্মূল্যের বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হলেও কমানো হলে জিনিসপত্রের দামও কিছুটা কমত। কিন্তু সরকার করেছে তার উল্টোটা। অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। গণপরিবহনে দেখা দিতে পারে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য। কৃষি ও শিল্প উৎপাদনেও খরচ বেড়ে যাবে। কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেকের ঘরে টিমটিমে আলো জ্বালানোও ব্যয়বহুল হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীনের তেল আমদানি কমে যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। জুন মাসে চীনের অপরিশোধিত তেল আমদানি গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিুেÑ এমন খবর প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যায়। দেশটির তেল আমদানি এক বছর আগের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। তেলের বাজার বিশ্লেষক বেন লি ব্রুন বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দুটি রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্ত ভালো আসেনি। এর প্রভাব পড়েছে তেলের দামে।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসির খবরেও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে তেলের চাহিদা কমে যাওয়া ও গ্রিসের ঋণখেলাপি উদ্বেগ থেকে গত সপ্তাহেও তেলের দাম কমেছিল। তার ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহে আরও কমে যায়। কমোডিটি ব্রোকিং সার্ভিসের তেল বিশ্লেষক জনাথন বারাত বলেন, ইউরো জোনের উদ্বেগ থেকে তেলের চাহিদা কমেছে। তিনি বলেন, ‘ইউরো জোনে ঋণ সংকট নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আর অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হওয়া মানে তেলের ভবিষ্যৎ চাহিদা কমে যাওয়া। এদিকে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে ১৬ টাকা ঘনমিটার সিএনজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ৪ মাস আগে ১২ মে সিএনজির দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল। এদিকে বিএনপি সরকারের শেষ সময়ের ৩৩ টাকা লিটারের কেরোসিন এখন ৫১ টাকা। তবে খুচরা পর্যায়ে গ্রাহকদের ৫৫ টাকা লিটার কেরোসিন কিনতে হচ্ছে। গরিবের জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মানুষদের ঘরে বাতি জ্বালাতেও বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। একইভাবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষিসেচে ব্যয় বেড়েছে ব্যাপক হারে। বিএনপি সরকার বিদায়ের সময় কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৩৩ টাকা, পেট্রল ৫৬ টাকা এবং অকটেন ৫৮ টাকা ছিল। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে এখন প্রতি লিটার কেরোসিন ও ডিজেল ৫১ থেকে ৫৫ টাকা, পেট্রল ৮১ টাকা ও অকটেন ৮৪ টাকায় উন্নীত হয়েছে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি তেলের ব্যারেলগুলো আনার পর প্রতি ব্যারেল প্রক্রিয়াজাতকরণের পর পাওয়া যায়, নাপথা, প্যাট্রল, অকটেন, কেরোসিন, ডিজেল, এলডিও (বিদ্যুৎ স্টেশনে ব্যবহƒত হয়), ফার্নেস ওয়েল, গ্রিজ, জুট বেকিং অয়েল, বিটুমিন (রাস্তায় ব্যবহƒত হয়) এবং আরও কিছু লুব্রিকেন্ট অয়েল। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি উপাদান জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য কাজে ব্যবহƒত হয়। এছাড়া কয়েকটি উপাদান বিভিন্ন দেশে রফতানিও করা হয়। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করে পরিশোধিত ডিজেল বা কোরোসিনের প্রতি লিটারের মূল্য ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে বিএনপি সরকারের সময়ে দায়িত্বে থাকা জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জ্বালানি তেল আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনছে এবং দেশের মানুষের কাছে তা বিক্রি করছে, তাতে সরকারের প্রতি লিটারে ৪ থেকে ৫ টাকা লাভ হওয়ার কথা। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ সরকারের অব্যাহত লুটপাট ও দুর্নীতি। তারা ভর্তুকির কথা বলে জনগণের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে যে হারে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে তা পুষিয়ে নিতে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য। তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম রয়েছে, তাতে সরকারের লাভ হওয়ার কথা। আর যদি লাভ না হয়, তাহলে লাভের টাকা লুটপাট হচ্ছে। ।
সোমবার হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা বাড়ানোর পরদিন মঙ্গলবার গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহƒত গ্যাসের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর আদেশ জারি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। সিএনজির পাশাপাশি সঞ্চালন লাইনের গ্যাস (ফিড গ্যাস) দাম প্রতি ঘনমিটার ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার ২৮ শতাংশ। ফিড গ্যাসের মূল্য সিএনজি স্টেশন মালিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সিএনজি স্টেশনগুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ভোক্তাদের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
বিশ্ববাজারে দাম কমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিকে এবং নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার অব্যাহতভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ফিরে যায়। তিন মাস আগে মে মাসে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে প্রতি লিটার অকটেন ৭৭ টাকা, পেট্রল ৭৪, কেরোসিন ও ডিজেল ৪৪ টাকা এবং ফার্নেস অয়েল ৪০ টাকা করে বিক্রি হতো। ২ টাকা করে বর্ধিত মূল্য কার্যকরের পর প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৪৬ টাকা, পেট্রল ৭৬ টাকা, অকটেন ৭৯ ও ফার্নেস অয়েল ৪২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল।
লিটারপ্রতি দুই টাকা করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আগেই ফার্নেস অয়েলের দাম গত মাসের ৬ এপ্রিল সর্বশেষ বৃদ্ধি করা হয়েছিল লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে। তবে ফার্নেস অয়েলের ক্ষেত্রে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রথম করা হয় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি। সে সময় ফার্নেস অয়েল লিটারপ্রতি ২৬ থেকে ৩৫ টাকা করা হয়েছিল।
চলতি বছরের সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে ফার্নেস অয়েলের দাম ৪ দফায় প্রায় ১০০ শতাংশ বেড়ে ২৬ থেকে ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে। বাড়বে পরিবহন খরচ। সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় আবারও বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর বাইরে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ ও রান্নার কাজে ব্যবহƒত গ্যাসের দাম কয়েক দফা বাড়িয়েছে। শিগগিরই আবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে বলেও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র আভাস দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলার, তখন বাংলাদেশে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ৪০ টাকার কম। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮৬ ডলার। সে হিসাবে বর্তমানে প্রতি লিটার কেরোসিন তেলের দাম হওয়া উচিত ২৮ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। সম্প্রতি সরকার কেরোসিন, ডিজেল, অকটেন, পেট্রল, জ্বালানি সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ও ফার্নেস অয়েলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনা টেন্ডারে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দলীয় লোকজনকে কাজ দিয়ে সেসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে যে হাজার হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির মুখে পড়েছে সরকার তা কমাতেই জনগণের ওপর চাপাচ্ছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ভার। সর্বশেষ সোমবার বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির দিন নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক কেন্দ্রে অপরিশোধিত তেলের দাম ১ দশমিক ১৯ ডলার কমে ব্যারেলপ্রতি হয়েছে ৮৬ দশমিক ৭৭ ডলার। এ কারণে দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লষকরাও বিশ্ববাজারে ক্রমহ্রাসমান জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেছেন। মূল্যস্ফীতি যখন দুই অংকের ঘরে গিয়ে ঠেকেছে, তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্য সরকার বলছে, জ্বালানি তেলের এ দফার মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভর্তুকি কমবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে বেপরোয়া দুর্নীতি, তেল চুরিসহ অদক্ষতার কারণে লোকসান দিতে হচ্ছে এবং সরকারকে ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, ডিজেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১২৫ ডলার ধরা হলে মূল্যবৃদ্ধির পর ভর্তুকি দিতে হয় প্রতি লিটারে ২২ টাকা। আর এখানকার বাজার দর ৮৫ ডলার হলে ভর্তুকি দিতে হবে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা। সরকার যেভাবে ভর্তুকির চিত্র তুলে ধরছে, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞ মহলে রয়েছে নানা ধরনের প্রশ্ন। তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মতে, জ্বালানি তেলে ভর্তুকির পরিসংখ্যানে স্বচ্ছতা নেই। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে খুশি করতে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এ মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে কোন সঙ্গতি নেই বলেও মত দেন তিনি। কারণ ৩ মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য বাড়েনি। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ভোগবিলাসিতা ও অপচয়ের প্রবণতা থেকেই জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন