সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

আদালত অবমাননা


আদালত অবমাননা কারে কয়, মানে এমন অবমাননার সংজ্ঞা কি? কি করলে বা না করলে আদালত অবমাননা হয়, মানে এমন অবমাননার আওতা ও পরিধি কতোদূর? এমন প্রশ্নের জবাব জানার সুযোগ বাংলাদেশের নাগরিকদের নাই।
কারণ, আদালত অবমাননা বিষয়ে বাংলাদেশে কোন আইন নাই। ফলে, রাষ্ট্রের অংশিদার যারা--সেই নাগরিকরা অসহায়। রাষ্ট্রের একটা অঙ্গ বিচার বিভাগ। মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার সমূহ রক্ষা ও বলবৎ করতে নির্বাহী বিভাগকে বাধ্য করা ছাড়াও নাগরিকদের নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটানোর দায়িত্ব আদালতের। যার কাছে গচ্ছিত রয়েছে এই দায়িত্ব খোদ তাদের সামনে এখন অসহায় নাগরিকরা। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক তার গণতান্ত্রিক ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের অধীনস্ত রেখে আদালতের কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইতে পারছে না। একদিকে অবমাননা বিষয়টির সুর্নিদিষ্ট কোনো আইন গরহাজির, অন্যদিকে ‘আদালত অবমাননা’র খোলা তলওয়ার ঝুলছে মাথার ওপর। প্রয়োগ হচ্ছে ইচ্ছামাফিক। আইন কানুন বিষয়ে যারা বিস্তর তত্ত্ব-তালাশ রাখেন, তারা হয়তো এতক্ষণে এ বিষয়ে একটা আইনের নাম বিড়বিড় করতে শুরু করেছেন। কনটেম্পট অব কোর্টস অ্যাক্ট, নাইনটিন টুয়ান্টি সিক্স--যার বাংলা ‘উনিশশো ছাব্বিশ সালের আদালত অবমাননা আইন’-- হয় বটে। কিন্তু এটা এমন কোনো আইন না, যেটা দেখে আমরা বলতে পারি-- এই আইনটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন; আদালত অবমাননার সংজ্ঞা কি, অবমাননার আওতা ও পরিধি কতোদূর ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে এই আইন অবমাননার বিষয় আশয় নির্দিষ্ট করার উদ্দেশ্যে তৈরিই করা হয় নাই। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিলো পুরা আলাদা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন